Watermelon Rind Benefit: তরমুজ খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। তরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশই জল। তাই, শরীরে জলের অভাব পূরণে তরমুজ একটি চমৎকার ফল। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, বি৬, পটাশিয়াম ও আঁশ। আমরা সাধারণত তরমুজের লাল অংশটুকুই খাই। খোসা কেটে বা লাল অংশের শাঁস খেয়ে খোসা ফেলে দিই। তরমুজের মোট ওজনের প্রায় অর্ধেকটাই খোসা। অর্থাৎ, একটি ৫ কেজি ওজনের তরমুজের ২ থেকে আড়াই কেজিই খোসা। কিন্তু আমরা জানি না, শাঁসের চেয়েও আরও পুষ্টি ও গুণযুক্ত বস্তুটিই আমরা ফেলে দিচ্ছি।
আরও পড়ুনঃ আপনার ভাল সময়ের সংকেত পাঠাচ্ছেন শনিদেব, উপেক্ষা করছেন না তো!
তরমুজের খোসা
অনেকেই হয়তো জানেন না তরমুজের ভেতরের সুস্বাদু অংশের মতো বাইরের খোসাটিও খাওয়ার উপযোগী এবং সেখানেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তরমুজের খোসায় রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে ভরপুর এই তরমুজের খোসা—এটি হলো সিট্রালিন। সিট্রালিন এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হার্ট এবং রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও এটি খাওয়া হয়। আমাদের কিডনি সিট্রালিনকে রাসায়নিকভাবে রূপান্তর করে আরজিনিন নামক আরেকটি অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। নাইট্রিক অক্সাইড আমাদের রক্তনালীসমূহকে প্রসারিত করে এবং রক্তের সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। তাই এটি উচ্চ-রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে সিট্রালিন পুরুষদের যৌন সমস্যা ইরেকটাইল ডিসফাঙ্কশনেও বেশ কার্যকরী।
আরও পড়ুনঃ আপনার মোবাইল নম্বরে ১ আছে? আপনার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ বলে দেবে
কীভাবে খাবেন?
এখন প্রশ্ন তরমুজের খোসা খাবেন, কিন্তু কীভাবে? এটি রান্না করেও যেমন খাওয়া যেতে পারে। তেমনি কাঁচা অবস্থায় সালাড বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। তরমুজের খোসা দিয়ে আচার ও হালুয়াও তৈরি করা যায়। তরমুজের খোসা লাউয়ের মতো ছোট ছোট টুকরো করে ডাল, টমেটো, শুটকি মাছ ইত্যাদির সাথে রান্না করে খেতে পারেন। খেতে অনেকটা চাল কুমড়ার মতো লাগবে। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা খেতে পারলে বেশি উপকারী।