Lose Weight in 20 Days: ঘরে এবং রান্নাঘরে যত কাজই করুন না কেন, কিন্তু নিজের জন্য সময় বের করে ব্যায়াম না করলে ওজন কমাতে কোনো কাজে আসবে না। ওজন কমানো যে কারো জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, আপনি পাঁচ কিলো কমাতে চান বা ২০ কিলো কমাতে চান।
অনেক মহিলা ওজন কমাতে চান কিন্তু তারা যে ফিগারটি চান তা অর্জন এবং বজায় রাখতে যে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তার জন্য প্রস্তুত নন। আপনি যদি ২০ দিনের মধ্যে আপনার ওজন অন্তত ৪-৫ কেজি কমাতে চান, তাহলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত ডায়েট এবং ব্যায়াম মেনে চললে সুফল পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যায়াম, হাতের অযাচিত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন সহজেই
চলুন আজ এমন একটি ডায়েট চার্ট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেটির সাহায্যে মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই অন্তত ৪-৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। পুজোর আগে ঝটপট ছিপছিপে চেহারা পেতে একবার চেষ্টা করে দেখুন...
প্রাতঃরাশ: সকালের নাস্তায় ৩০০-৩৫০ ক্যালোরি খাওয়ার চেষ্টা করুন। সকালের নাস্তায় সাম্বারের সঙ্গে মুগ ডাল ও লাউ সেদ্ধ খান। এর ১ ঘণ্টা পর গ্রিন টি খান। মুগ ডাল, লাউ এবং ওটস শুধু পুষ্টিগুণই বাড়ায় না ওজন কমানোর জন্যও অত্যন্ত কার্যকর।
আরও পড়ুন: মহালয়া পর্যন্ত হাওড়া মেন-কর্ড লাইনে বাতিল বহু ট্রেন, জানুন নতুন সূচি
সকাল ১১টায়: মসলা চা (ভাজা জিরার গুঁড়ো, বিটনুন মেশানো লাল চা) এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি অনেকটা ওজন কমাতে পারেন। এই পানীয়টির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, এটি হজমের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি এবং টক্সিন দূর করে।
দুপুর ১টার মধ্যে: আপনার খাদ্য গ্লুটেন মুক্ত রাখুন এবং ডায়েটে ওটস অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে কম কোলেস্টেরল এবং ক্যালোরি রয়েছে। যার কারণে এটি ওজন কমাতে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। আপনার দুপুরের খাবারে ১ বাটি সবজি এবং ১টা ওটসের রুটি রাখুন। এর সঙ্গে ১ কাপ দই আর ১ কাপ সালাদ (টমেটো/শসা/বিট/গাজর) অন্তর্ভুক্ত করুন।
লাঞ্চের ৩০ মিনিট পর এক গ্লাস ডাবের জল খান। এটি শরীর সতেজ রাখতে মেটাবলিজম বাড়ায়, যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার মধ্যে: আপনার লাঞ্চ বা ডিনারে শাক-সবজির স্যুপ অন্তর্ভুক্ত করুন। তরলে আপনার পেট ভরে যাবে, খিদের বোধ কম অনুভব হবে। স্যুপে রাখুন কালো মটরশুটি, কিডনি বিন। তবে এগুলো আধা কাপ নিয়ে সবজির স্যুপ একসঙ্গে খান। এই স্যুপ আপনার শরীরকে প্রচুর প্রোটিন এবং ফাইবার দেবে।
দ্রষ্টব্য: আপনার যদি কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে উল্লেখিত ডায়েট মানার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও, আপনার শারীরিক পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য ও সহন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কোনও পুষ্টিবিদ-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে তবেই ডায়েট মানতে হবে।