লাল চা, গ্রিন টি এসব তো চেনা। তা বলে নীল চা! বাঙালির রসনায় যোগ হতে চলেছে নতুন পানীয়। এমনই নীল রঙের চা আনল আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান। নাম 'ব্লু পি গ্রিন টি' (Blue Pea Green Tea)।
এই চায়ের রংটি যেমন ভিন্ন। তেমনই তৈরি করার পদ্ধতিও। এই বিশেষ চা তৈরি করতে প্রয়োজন হয় চায়ের অত্যন্ত নরম কুঁড়ি ও অপরাজিতা ফুল। দুইয়ের মিশ্রনে তৈরি হয় এক অ্যারোমারযুক্ত নীল রঙের চা। শুধু রংই নয় চায়ের গন্ধও দারুণ।বিশেষজ্ঞদের দাবি, নীল রক্ত পরিষ্কার করে। হার্টকে সতেজ রাখে। এছাড়াও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখে। চুল পড়া রোধ করে।
পরীক্ষামূলক ভাবে ৫ কিলোগ্রাম এই বিশেষ চা উৎপন্ন করা হয়েছে। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা শেষ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি চা বাগান কর্তৃপক্ষের। প্রতি কিলোগ্রাম পিছু বাজারদর উঠেছে প্রায় ৬৫০০ টাকা। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আরও অনেক বেশি নিল চা উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানান বাগানের জেনারেল ম্যানেজার চিন্ময় ধর।
এর আগেও চিরাচরিত চায়ের সঙ্গে সঙ্গে নানান নতুন ধরনের চা তৈরি করে চা-প্রেমীদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান। তবে নীল চা অন্যরকম আকর্ষণ তৈরি করেছে। বাগানের এক কোণে চা গাছের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে অপরাজিতা ফুলের বাগান। সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হচ্ছে অপরাজিতা ফুলের কুড়ি। তারপর বাগানের কারখানায় বিশেষ পর্যবেক্ষণে তৈরি হয় নীল চা। যেহেতু অপরাজিতা ফুল সারা বছর পাওয়া যায় না, তাই সম্বৎসর এই চা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
নীল চায়ের উপকারিতা
ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে - নীল চায়ে থাকে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতে উপস্থিত জৈব যৌগ শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণাগুণ- নীল চা খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিসের সমস্যা না হয়। প্রতিদিন নীল চা খেলে খিদেও কমে লাগে।
এনার্জি দেয়- এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সারাদিন শরীরকে সতেজ রাখে। প্রতিদিন এক কাপ নীল চা পান করলে ক্লান্তিবোধ হয় না।
দুশ্চিন্তা ও ডিপ্রেশন দূর করে- নীল চায়ে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তা উদ্বেগ কমায়। স্ট্রেস দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে- ওজন কমাতে সকালে এই চা পান করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার ওজন কমবে। চর্বি পোড়াতে এই চা খুবই উপকারী।