সমৃদ্ধির সঙ্গে পরিচ্ছন্ন থাকার একটা নিবিড় যোগ রয়েছে। আর পরিচ্ছন্ন থাকার প্রধান শর্ত হল নিয়মিত স্নান। স্নান করলে শরীর যেমন চাঙ্গা থাকে, তেমনই আলাদা শক্তি পাওয়া যায়। তবে সঠিক পদ্ধতিতে স্নান যেমন সমৃদ্ধি আনে, তেমনই সঠিক স্নান না হলে নেতিবাচক শক্তি জাগ্রত হয়ে পড়ে।
ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্র আয়ুর্বেদে স্নানের নানা উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। স্নান না করলে নানারকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে। নিয়মিত স্নান শতাধিক রোগ দূরে রাখে। স্নান অবসাদ ও আলস্য দূর করে। স্নান করলে শরীরের জড়তা কেটে নতুন উদ্যম তৈরি হয়। স্নানে টেনশন দূর হয়। খুব টেনশনে থাকলে ঠান্ডা জলে স্নান সেরে নিলে শরীর মন ঠাণ্ডা হয়। মস্তিষ্কের কোষ শিথিল হয়। বাড়তি উদ্বেগ দূর হয়।
স্নানের প্রকারভেদ রয়েছে। জেনে নিন কোন স্নানে কী সমস্যার সমাধান?
ব্রহ্ম স্নান
ভোর ৪ টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সময় হল ব্রহ্ম মূহূর্ত। এই সময় ইষ্টদেবতার নাম জপ করতে করতে স্নান করলে তা ব্রহ্ম স্নান হয়। এই সময় জলে সমস্ত দেবতার বাস থাকে। সমস্ত তীর্থ যাত্রার পুন্য লাভ হয়। তাই এই সময় স্নান করলে প্রচুর লাভ হয়। স্নানকারী ব্যাক্তির সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা প্রাপ্ত হয়। জীবনের সংকট দূর হয়।
দেব স্নান
সূর্যোদয়ের ঠিক পরই যাঁরা স্নান করেন, নদী অথবা নিজের ঘরে, গঙ্গা, যমুনার মতো পবিত্র নদীর নাম জপ করতে করতে স্নান করলে সেই স্নান হল দেব স্নান। এই সময় স্নান করলে আসন্ন সমস্ত সমস্যা দূর হয়।
ঋষি স্নান
যখন ভোরবেলায় আকাশ থেকে তারারা হারিয়ে যায় না। অথচ সূর্য উঠে গিয়েছে। এমন সময় তারা দেখতে দেখতে স্নান করাকে বলে ঋষি স্নান। এই সময় স্নান করলে সমস্ত কাজে বাধা দূর হয়।
তবে যেভাবই স্নান করুন না কেন, স্নানের একটা বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে।
কীভাবে স্নান করবেন
স্নানের সময় প্রথমে মাথায় জল ঢালুন। ঠাণ্ডা জল মাথা থেকে শরীর বেয়ে পা দিয়ে যেভাবে নেমে যাবে, মাথার গরম, শরীর হয়ে পায়ের মাধ্যমে দূর হবে।