ছোটবেলায় জ্বর হলে মা-দিদিমারা ভাত খেতে বারণ করতেন। এমনকী চিকিৎসকেরাও বারণ করে থাকেন থাকেন ভাত খেতে। কারণ মনে করা হয়, ভাতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে, এটি শরীরকে ঠান্ডা করে, তাই জ্বরের সময় ভাত খেলে জ্বর আরও বেড়ে যেতে পারে। এই ধারণাকেই এতদিন ধরে আমরা মেনে চলে এসেছি। সময় বদল হলেও সেই চিরাচরিত ধারণাকেই মেনে আসছি। কিন্তু এই চিরাচরিত ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা কী বলছেন?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বরের সময় ভাত খেলে জ্বর কখনওই বাড়ে না, শরীর খারাপ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে না। বরং, জ্বরের সময় ভাতের বদলে রুটি খেলে তা হজম হতে দেরি হতে পারে এবং এর দরুন শরীর আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাত খেলে গ্যাস, অম্বল বা অন্যান্য পেটের সমস্যা হয় না। তাই, জ্বর গায়ে ভাত বাদ না দেওয়াই ভালো।
তবে, ভাতের জায়গায় অন্য কোনও সহজপাচ্য খাবারও খাওয়া যেতে পারে। সহজে খাবার হজম হলে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ডেঙ্গি অথবা সাধারণ জ্বর হলে অবশ্যই সারাদিন ধরে বারবার জল খেতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ডিহাইড্রেশন হয়ে যেতে পারে। সুস্থ হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ পরপর জল বা ওআরএস মেশানো জল, অথবা ফলের রস পান করুন।
তবে সাধারণ জ্বরে ভাত নিজের খাবারের থেকে বাদ না দেওয়াই ভালো। জ্বর গায়ে ভাত খেলে শরীরের দুর্বলতা কমে যায়। তাই এখন চিকিৎসকেরা জ্বর হলে ভাত খেতে বলেন।