আমরা প্রায় সবাই হলুদ রঙের কুমড়ো খেয়েছি, এর স্বাদও খুব আকর্ষণীয়। এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করা হয়। তাছাড়াও আরও নানারকমভাবে খাওয়া যায় কুমড়ো। এর অনেক খাদ্যগুণও রয়েছে। অনেকে তো প্রায় প্রতিদিনই কুমড়ো খান। কিন্তু খুব কম মানুষই সাদা রঙের কুমড়ো সম্পর্কে জানেন। এতেও রয়েছে অনেক উপকারিতা, যা জানলে অবশ্যই এটিকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবেন। অনেক রোগের উপশমের ক্ষেত্রে এটি দুর্দান্ত কার্যকরী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সাদা কুমড়োর উপকারিতা সম্পর্কে।
১. খনিজ পদার্থে ভরপুর - সাদা কুমড়োয় পুষ্টির কোনোও অভাব নেই, তাই প্রায়ই এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সাদা কুমড়োয় আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটের মতো খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
২. হাঁপানির রোগে উপশমকারী - যাঁরা হাঁপানিতে ভুগছেন তাঁদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সাদা কুমড়ো অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আসলে, এই সবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৩. রাতকানা রোগে দারুণ কাজ দেয় - সাদা কুমড়োয় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যাঁদের রাতকানা রোগ আছে তাঁদের জন্য এটি ভিটামিনের দারুণ উৎস হতে পারে।
৪. গাঁটের ব্যথায় মিলবে আরাম - যাঁরা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন তাঁদের জন্য সাদা কুমড়ো হতে পারে উপশমের দুর্দান্ত সোর্স। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস কুমড়োর রস পান করুন। কয়েকদিনের মধ্যে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই গাঁটের ব্যথা থাকলে এটি ট্রাই করতে পারেন।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পরিবর্তনশীল মরশুমে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যা এড়াতে সাদা কুমড়ো খাওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষণতা বাড়াতে খেয়ে দেখতে পারেন সাদা কুমড়ো।
আরও পড়ুন - High BP-র রোগীরা ভুলেও করবেন না এই কাজ, বিপদ বেড়ে যাবে