
শীতের মরশুমে তাজা সবজি-ফল খেতে কার না ভালো লাগে বলুন তো। আর এই সময় সবুজ পালং শাক স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে সকলের। আর পালং শাকের কথা আসতেই যে খাবারের নাম সবার প্রথম মনে পড়ে, তা হল পালক পনির। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে পালং শাকের সঙ্গে পনিরের জুটি মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই কথা শুনলে পালক পনির প্রেমীদের মন ভাঙতে পারে, তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের মত
দিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
পালক পনির অস্বাস্থ্যকর
স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও ভালো খাদ্যাভাস আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি ভালো,পুষ্টিকর খাবার খান এবং সঠিকভাবে সব কিছু মেনে চলেন,দেখবেন তার ইতিবাচক প্রভাব আপনার শরীরের ওপর পড়ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র জীবনযাত্রা সঠিক রেখে ও ভালো খাবার খেলেই আপনি ফিট থাকতে পারবেন না। আপনাকে নজর রাখতে হবে যে আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন এবং যে খাবার তৈরি হচ্ছে তার সঙ্গে কোন কোন সবজি একসঙ্গে রান্না হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে হয়ত কোনও কোনও খাবারের কম্বিনেশন স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তেমনই একটি জনপ্রিয় খাবার হল পালক পনির, যা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয় বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পালং শাকের সঙ্গে খান এই সবজিগুলি
শীতকাল মানেই পালং শাকের মরশুম চলে আসা। আর পালং শাকের সঙ্গে পনিরের জুটি আলাদাই এক আকর্ষণ তৈরি করে। অনেকেই এই খাবারটি খেতে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন পালং শাক ও পনিরের এই জুটি আপনার শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে পালং শাকে থাকা আয়রন যা পনিরে থাকা ক্যালসিয়ামকে শুষে নিতে পারে না। তাই পালং শাকের সঙ্গে আলু বা ভুট্টার জুটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। পালং শাক আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে আপনার মেটাবলিজমকে দূর করে, যার ফলে আপনার হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, পনিরে উপস্থিত প্রোটিন থেকে আপনার মাংসপেশী মজবুত হয় আর এটা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর পনির ফ্রি রেডিক্যাল থেকে শরীররে রক্ষা করে। এছাড়াও ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে-এর ভালো উৎস রয়েছে পনিরে। ক্যালসিয়াম শোষণ করতে ভিটামিন ডি সহায়তা করে, অপরদিকে প্রোটিন তৈরি করতে ভিটামিন কে ব্যবহৃত হয়।
এই খাবারের জুটি থেকে থাকুন দূরে
আযুর্বেদ অনুয়াযী, কিছু খাবারের কম্বিনেশন থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দুধের সঙ্গে কলা খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও ঘি ও মধু একসঙ্গে সেবন করা থেকে দূরে থাকা উচিত। আযুর্বেদে এও বলা হয়েছে যে মাছ ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। শুধু তাই নয়, দই ও পনিরকেও একে-অপরের বিপরীত খাবার বলে মনা হয়। যদিও দুটি খাবারই দুগ্ধজাত।