কখনও বৃষ্টি পড়ছে। আবার কখনও প্যাঁচপ্যাঁচে গরম। প্রাক বর্ষার আগে তাপমাত্রার উত্থানপতনে জ্বর আসছে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বাতাসের কারণে জ্বর খুব বেশি ছড়াতে দেখা যায়। যাকে হে ফিভার (Hay Fever) বলে। গ্রীষ্ম এবং বৃষ্টিতে (মার্চ এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে) বাতাস বয়ে যাওয়া কণাগুলি শ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে পড়ে শরীরে। ফল জ্বর এবং অ্যালার্জি। এই সময় জ্বরের লক্ষণ-চোখ চুলকানো, নাক দিয়ে জল পড়া, সাইনাস, ডার্ক সার্কেল, ক্লান্তি, সর্দি ও কাশি। জ্বর হলে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, না হলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে।
১। চিজ
হিস্টামিন রাসায়নিক পাওয়া যায় পনীরে। যা শরীরে প্রদাহ ও ঠান্ডার কারণ হতে পারে। পনীরের সঙ্গে অনেক খাবারেও হিস্টামাইন পাওয়া যায়। এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামাইন ট্যাবলেট নেওয়া যেতে পারে। যা এর প্রভাব কমাতে পারে।
২। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
বেশিরভাগ দুগ্ধজাত পণ্য শরীরে শ্লেষ্মা বাড়ায়। এতে অ্যালার্জিকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যশস্যের পাশাপাশি পনীর ও দুধের মতো দুগ্ধজাত খাবার নাকে শ্লেষ্মা বাড়ায়। যার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। তাই গরুর দুধের পরিবর্তে বাদাম বা ওট দুধ দিয়ে চা খান। কিন্তু নারকেলের দুধ খাবেন না।
৩। অ্যালকোহল
অ্যালকোহলে হিস্টামাইন থাকে। যা জ্বরের সময় চোখের চুলকানি বাড়ায় এবং ঘ্রাণ নেওয়ার ক্ষমতা কমাতে পারে। বিয়ার, সাইডার এবং রেড ওয়াইনের মতো পানীয়গুলিতে হিস্টামাইন বেশি থাকে যা জ্বরের লক্ষণগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। প্রকৃতপক্ষে, অ্যালকোহল পান করলে লিভারের উপর চাপ পড়তে পারে। এতে লিভারের পক্ষে শরীর থেকে হিস্টামিন পরিষ্কার করা কঠিন করে তোলে। জ্বর সারে না।
৪। মিষ্টি
চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরে হিস্টামাইন তৈরি করে। জ্বরের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতএব, মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিন বা বন্ধ করুন।
৫। কিছু ফল ও সবজি
জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও হজমের সমস্যা এবং খাবারে অ্যালার্জি থাকতে পারে। অ্যালার্জির কারণে তাজা ফল খাওয়ার পরে গলায় চুলকানি, কানে চুলকানি, জিহ্বা বা ঠোঁট ফুলে যাওয়া অনুভব করতে পারেন। তাই কিছু অ্যাসিড বা সাইট্রাস ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন- হোটেলে থাকা, প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠতা! হয়রানি এড়াতে জানুন প্রেমের অধিকার