Symptoms Of Liver Diseases: আপনার লিভার ঠিক আছে তো? প্রস্রাবের রং বলে দেবে

লিভার (Liver) শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা খারাপ হয়ে গেলে মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি শরীরে খাবার হজম করা থেকে শুরু করে পিত্ত তৈরির কাজ করে (পিত্তের মাধ্যমে খাবার হজম করতে)। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিপাকতন্ত্র (Digestive System) বিঘ্নিত হয়।

Advertisement
আপনার লিভার ঠিক আছে তো? প্রস্রাবের রং বলে দেবে আপনার লিভার ঠিক আছে তো
হাইলাইটস
  • লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করে না
  • ত্বক ও চোখের রং হলুদ হতে শুরু করে

লিভার (Liver) শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা খারাপ হয়ে গেলে মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি শরীরে খাবার হজম করা থেকে শুরু করে পিত্ত তৈরির কাজ করে (পিত্তের মাধ্যমে খাবার হজম করতে)। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিপাকতন্ত্র (Digestive System) বিঘ্নিত হয়। যার কারণে আপনার অনেক পেটের রোগ হতে পারে। লিভার শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করে, শরীরে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং কার্বোহাইড্রেট সঞ্চয় করে এবং প্রোটিন তৈরি করে। লিভার পুরো শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। লিভার শক্তিশালী হলে পুরো শরীর সুস্থ থাকে এবং যখন তা দুর্বল (Liver Diseases) হয় তখন আপনার শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে।

লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করে না, যার কারণে ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতার মতো সমস্যা হয়। লিভারের অসুখ নীরবে কড়া নাড়ে। সাধারণত শুরুতে এর লক্ষণগুলি দেখা না গেলেও পরবর্তীতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। অ্যালকোহল, উচ্চ ক্যালরি এবং চর্বিযুক্ত খাবার আপনার লিভারের শত্রু। কারণ এগুলিকে হজম করতে লিভারকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। লিভারে কোনও ধরনের গোলযোগ দেখা দিলে তা অনেক ধরনের লক্ষণ (Symptoms Of Liver Diseases) দেখা দিতে শুরু করে, যা অবহেলা করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন:Vastu Tips: আপনার ঘরে এসব কাঠের জিনিস নেই তো? থাকলে কিন্তু বিপদ অনিবার্য

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে লিভারের সমস্যা থাকলে এই সাতটি লক্ষণ দেখা দেয়, যা সময়মতো শনাক্ত করে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

মলের রঙের পরিবর্তন: যদি আপনার লিভারে কোনও গোলযোগ দেখা দেয়, তাহলে লিভারে তৈরি হওয়া পিত্ত লবণের কারণে মলের রঙ গাঢ় হয়ে যায়, তার মানে আপনার লিভার সুস্থ। কিন্তু লিভারে কোনও সমস্যা হলে চর্বি হজম করতে অক্ষম হয়ে যায়, যার কারণে মল পাতলা হয়ে যায় এবং এর রং হালকা হয়ে যায়।

Advertisement

বমি বা বমিবমি ভাব: এটি লিভারের কর্মহীনতার একটি খুব সাধারণ লক্ষণ। কারণ এই অবস্থায় লিভার বিষাক্ত পদার্থগুলিকে ফিল্টার করতে অক্ষম হয় এবং এই বিষাক্ত পদার্থগুলি রক্তে জমা হতে শুরু করে, বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে।

গ্যাস্ট্রোকোলিক রিফ্লেক্স গ্যাস্ট্রোকোলিক রিফ্লেক্স: এটি কোনও রোগ বা চিকিৎসার অবস্থা নয়, এটি এক ধরনের শারীরবৃত্তীয় প্রতিবর্ত অর্থাৎ ক্রিয়া। এ অবস্থায় যে কোনও কিছু খাওয়ার পর টয়লেটে যাওয়ার ইচ্ছা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এটি ঘটে কারণ লিভারে রোগের কারণে। এটি আপনার খাওয়া খাবার শোষণ করতে অক্ষম। এটি কোলনে (পেট) প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এটি সংকুচিত হতে শুরু করে। সংকোচনের ক্ষেত্রে শরীর আপনাকে টয়লেটে যাওয়ার সংকেত দেয়।

ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া: আপনার লিভারে সমস্যা থাকলে আপনার ত্বক ও চোখের রং হলুদ হতে শুরু করে। রক্তে বিলিরুবিন নামক রাসায়নিকের কারণে এটি ঘটে। কিছু সমস্যার কারণে লিভার এটি কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করতে সক্ষম হয় না, তাই এই লক্ষণগুলি আপনার শরীরে উপস্থিত হতে শুরু করে। যখন লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেক ক্ষেত্রে ত্বকে একটি ক্রাস্টও তৈরি হতে শুরু করে, যা চুলকানির কারণও হয়। লিভারের ব্যর্থতার কারণে তা প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরি করতে অক্ষম হয় এবং তাই আপনার রক্তনালীগুলি সহজেই আহত হয়।

প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হলে: সমস্যা থাকলে বিলিরুবিন রাসায়নিককে ভেঙে ফেলতে অক্ষম হয়ে যায় লিভারে, যার কারণে লিভারে এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে এবং প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হয়। লিভার ফেইলিউর বা কোনও সংক্রমণ হলে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়।

পেট ফাঁপা: পেট ফাঁপা লিভারের ব্যর্থতার আরেকটি লক্ষণ। এই অবস্থায় পেটে তরল পদার্থগুলি ভর্তি হতে শুরু করে, যাকে সাধারণ ভাষায় পেটে জল জমে যাওয়া বলে। এ রোগে মানুষের প্রায়ই পায়ের পাতা, গোড়ালি ও গোড়ালি ফুলে যায়।

 

POST A COMMENT
Advertisement