Parched Rice For Breakfast: ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক কিছু করি। সকালে ঘুম থেকে ওঠা, শরীরচর্চা, ব্রেকফাস্ট, কড়া ডায়েট, কিন্তু এসবের পরও সমস্যায় পড়তে হয় অতিরিক্ত ওজন নিয়ে। টানা ৬ মাস ধরে ব্রেকফাস্টে ওটস খেয়েও কমছে না ওজন। সকালে কড়া ডায়েট করলেও বিকেলে যদি নিয়ম সামান্য ভাঙেন, তাতে সমস্ত দিনের উদ্যোগ মাঠে মারা যায়। তাতে ওজন কমার চেয়ে বৃদ্ধির গতিই বেশি। এছাড়াও শরীর দুর্বল লাগা, মন মেজাজ খারাপ-সহ আরও হাজারো সমস্যা। আসলে ডায়েটে যদি সঠিক ফাইবার না থাকে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য আসতে বাধ্য। কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই খাবার ভাল হজম না হওয়া, গ্যাস-অম্বল সমস্যা চলে আসে।
খই-দই খান নিয়মিত
বাড়িতে থাকা সাধারণ খাবারেই ওজন কমতে রারে আর তাতে শরীরও থাকে সুস্থ। আল এ জন্য আপনি ৫০ বছর আগে ফিরে যেতে পারেন। সাধারণ চিঁড়ে, মুড়ি, খইতেই মানুষ প্রাতরাশ সারতেন। তাতে শরীরে কোনও সমস্যাও হত না। অতিরিক্ত চর্বি জমত না। সেইসঙ্গে পরিশ্রমও করতে পারতেন। ব্রেড-ওমলেট ছেড়ে খই-দইয়ের প্রাতঃরাশে ফিরে যান। দেখবেন শরীর থাকছে ঝরঝরে আর অতিরিক্ত মেদও জমছে না। সেই সঙ্গে বাড়ছে এনার্জি। তবে দই কিনে নয়, ঘরে পাতা টকদই খেতে হবে। দ্রুত ওজন কমাতে টকদই এর জুড়ি মেলা ভার। এরমধ্যে ফ্যাট অনেক কম থাকে এবং টক দই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম যা রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। এ ছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খিদে খিদে বোধ কম হয়।
ওজন কমাতে মোক্ষম এই ডায়েট
টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও খইয়ের মধ্যে কোনও ফ্যাট নেই। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এমনকী খইয়ের মধ্যে শর্করার পরিমাণও খুব কম। তাই সুগার কিংবা হার্টের রোগীরাও খুব সহজেই খেতে পারেন। খুব সহজেই মেটে শরীরে ক্যালোরির চাহিদা। এখন সবাই বাড়িতেই বসে কাজ করছেন। তাতে বারবার খিদেও পাচ্ছে। আর সেই খিদে কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে খই।
কীভাবে খাবেন
সকালের চায়ের পর বাড়িতে পাতা টকদইয়ের সঙ্গে কই মিশিয়ে নিন। চাইলে দিতে পারেন কোনও ফল। খেজুর দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু ফ্যাট কমাতে চাইলে চিনি দেবেন না। কয়েকদিন এই ভাবে খেয়ে দেখুন। তাতে ওজন কমবেই। কাজের এনার্জি বাড়বে। অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমার সুযোগ পাবে না। জিমে যাওয়ার আগেও খেতে পারেন দই-খই। তাহলে তা আরও কাজে আসবে।