Advertisement
লাইফস্টাইল

দার্জিলিংয়ের সেরা ৭ Tea-Caffe-র ঠিকানা, যেখানে মিলবে অথেনটিক 'দার্জিলিং চা'

  • 1/8

দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে গেলে টয়ট্রেন (Toutrain), কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjungha) সঙ্গে অন্যতম আকর্ষণ দার্জিলিং চাও (Darjeeling Tea)। দার্জিলিংয়ে আসবেন আর চা খাবেন না, তা তো হয় না! এমনিতে চা গোটা দেশের প্রত্যেকটি কোণাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু দার্জিলিংয়ের চায়ের ব্যাপারটাই আলাদা। সোনালী রঙের তরলে সূর্যের আলো পড়ে যে অপূর্ব মাদকতা সৃষ্টি করে, তার উদাহরণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পাওয়া মুশকিল। কেউ কেউ বলেন এর পোখরাজ রঙের সঙ্গে মিল রয়েছে। আবার যে যার মনের মাধুরী মিশিয়ে বর্ণনা করেন। তবে একটা জায়গায় সবাই একমত, এমন চা গোটা বিশ্বে মেলে না। কেজি প্রতি দাম শুনলেও আঁতকে উঠকে হয়। ১০, ১৫, ২৫, ৫০ হাজার, এক একটি চায়ের একেক রকম দাম। তাই তো বাগানের সর্বোৎকৃষ্ট চা চলে যায় বিদেশের কাপে।

এখানে মিললেই বা কি? এত দাম দিয়ে এত দামি চা কেই বা রোজ রোজ খেতে পারেন। তবে তা বলে কি চেখেও দেখা যাবে না? বাড়িতে না হয় নাই বা খেলেন. দার্জিলিং ঘুরতে এসে এক আধ কাপ এই স্বর্গীয় অনুভূতি উপভোগ করতেই পারেন। আজ আপনাদের আমরা এরকম সাতটি চায়ের স্টল বা শপ, তাঁরা বলেন টি- বুটিক (Tea Blutique) এর খোঁজ দেব। দার্জিলিং এলে এই জায়গাগুলিতে একবার ঢুঁ না মারতে পারলে, শৈলশহরে ঘোরার আনন্দ অর্ধেকটাই মাটি।
 

  • 2/8

১. উইন্ডেরমেয়ার (Windermere)

উইন্ডেরমেয়ার হোটেলের আফটারনুন সেগমেন্টের চা চেখে দেখতে পারেন। যদি একটু বেশি খরচ করার মতো পকেট সঙ্গ দেয় তবে চলে যেতে পারেন এখানে। শুধু স্বাদে নয় এর প্রেজেন্টেশন এবং সঙ্গে পরিবেশিত কুকি আপনাকে চায়ের সম্পর্কে ধারণাই বদলে দেবে। দার্জিলিং অবজারভেটরি হলের কাছে অবস্থিত এটি যে কোনও কাউকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে।


 

  • 3/8

২. গ্লেনারিজ (Glenary's)

এখানকার চায়ের কথা না বললেই নয়। সেটি বিখ্যাত শতাব্দী প্রাচীন গ্লেনারিস বেকারি। এখানকার নানা রকম খাবার এবং বেকারি আইটেমের মাঝে আলাদা করে বলতেই হয় অথেন্টিক দার্জিলিং চায়ের সুস্বাদু রেঞ্জের জন্য। ব্রেকফাস্টের পর এক কাপ দার্জিলিং চা না খেলে আপনার খাওয়া সম্পূর্ণ হবে না। এখানেও নানা রকমের চা আপনাকে চায়ের স্বর্গে পৌঁছে দেবে এটুকু বলাই যায়।

Advertisement
  • 4/8

৩. হাউস অফ টি (House Of Tea)

এটি গুডরিক কোম্পানির একটি আউটলেট। দার্জিলিংয়ে অবস্থিত এই আউটলেটটি দার্জিলিং-চা এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঠিকানা। মার্গারেট হোপ চা বাগান, ক্যাসেলটন মাসকাটেলের সেকেন্ড ফ্ল্যাশ সহ বিভিন্ন বাগানের চায়ের সম্ভার তাদের মূল আকর্ষণ। এখানে বসেও আপনি কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন রকমের চা পান করে।

 

  • 5/8

৪. হট স্টিমুলেটিং ক্যাফে(Hot Stimulating Cafe)

হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এবং দার্জিলিং চিড়িয়াখানা যাওয়ার পথে এই টি শপটি পড়ে। ঠান্ডার মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে যদি রওনা হন চিড়িয়াখানার দিকে, তাহলে মাঝে এখানে থেমে এক কাপ চোখে দেখতে পারেন। নামের মতোই কাজেও মুহূর্তে উদ্দীপনা যোগাতে সক্ষম এখানকার বিস্তৃত চায়ের সম্ভার। এখানে চায়ের পাশাপাশি সুস্বাদু মোমোর সম্ভারও পাওয়া যায়।

  • 6/8

৫. গোল্ডেন টিপস টি লাউন্স (Gloden Tips)

দার্জিলিং চৌরাস্তা ম্যালে নাথমুলের ঠিক উল্টোদিকে গোল্ডেন টিপস টি ক্যাফে অবস্থিত। ৯০ বছর ধরে তারা একইভাবে চা পরিবেশন করে আসছেন। আরও অনেক কিছু, স্নাক্স পিজ্জা বার্গার অফ স্যান্ডউইচও পাওয়া যায়। তবে মূল আকর্ষণ সেই চা-ই। স্থানীয়দের কাছে এটি একটি বেকারি আইটেম শপ হলেও, পর্যটকদের কাছে চায়ের জন্যই এর চাহিদা।

  • 7/8

৬. হ্যাপি গোল্ডেন ক্যাফে(Happy Golden Caffe)

খুব ছোট্ট একটি ব্যক্তিগত টি স্টলটি হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানে লেবং কার্ট রোডে অবস্থিত। চকবাজার এলাকায় এই ছোট দোকান হলেও অথেন্টিক চায়ের বড় বড় উদ্যোগকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে চা বিক্রি করে চলেছেন কুসুম নামের এক মহিলা। এই মহিলার পরিবার প্রত্যেকেই হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানের কর্মী। তাঁরা এখান থেকে লন্ডনেও চা পাঠান। সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার লোকেরা তাদের চা খেয়ে ঠিকানা দিয়ে চলে যান। কুরিয়ারে চা পাঠিয়ে দিতে হয়। চায়ের সম্পর্কে তাদের জ্ঞানও অপার। চা খেতে খেতে চায়ের সম্পর্কে নানা রকম তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
 

Advertisement
  • 8/8

7. নাথমুলস(Nathmulls)

দার্জিলিং চৌরাস্তার মলে দাঁড়ালে বড় বড় হরফে বড় বড় সাইনবোর্ড চোখে পড়বে। টুক করে ঢুকে পড়লেই হল। এক কাপ সোনালী বা পোখরাজ রঙা চা নিয়ে বসে পড়ুন মৌতাতে।

 

 

প্রতিটি চায়ের স্টল থেকেই আপনি ইচ্ছে মতো চা কিনে বাড়িও ফিরতে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই

Advertisement