শুক্রবার সকালে আচমকা তুষারপাত শুরু হয়। যা সিকিমের ওই এলাকায় ভ্রমণ করছিলেন, তাঁরা বাড়তি পাওনায় উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।
পর্যটকদের বরফের সাক্ষী করতে পেরে খুশি স্থানীয় গাড়িচালক ও বাসিন্দারাও। তাঁদেরও আনন্দে নাচানাচি করতে দেখা যায়।
এমনিতেই দীর্ঘদিন সিকিমে বিপর্যয়ের কারণে পর্যটক কমে গিয়েছে। প্রাকৃতিক এই খেয়াল আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন তারা।
এখনও শীত পড়েনি। তার আগেই মরশুমে তৃতীয়বার তুষারপাত এলাকায় পর্যটকদের টেনে আনবে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা।
হিমালয়ান হস্পিটালিটি এন্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন তুষারপাত এই সময়ে পর্যটকদের কাছে একটা অন্যতম আকর্ষণ। সব ঠিক থাকলে পর্যটক আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।
আগামী কয়েক দিনে সিকিমের একাধিক এলাকায় তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-সিকিম, পূর্ব সিকিমে বিক্ষিপ্ত তুষারপাত হতে পারে বলে সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।
যদিও উত্তর সিকিম আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ রয়েছে তাই পূর্ব সিকিমের নাথুলা, বাবা মন্দির, ছাঙ্গু এলাকাগুলিতে পর্যটকরা তুষারপাত উপভোগ করতে পারবেন।
তবে সকলেই চাইছেন হালকা তুষারপাত থাকুক। তাতে পর্যটন জারি থাকবে, যাতায়াতে কোনও সমস্যা হবে না। ভারী তুষারপাত শুরু হলে এই এলাকাতেও রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বিপজ্জনক হয়ে যাওয়ার কারণে।
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে সিকিমে রথভাঙ্গা বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছিল তিস্তা নদী। সেইসঙ্গে সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।