কাঞ্চনজঙ্ঘার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বরফে ঢাকা রাজকীয় এক শৃঙ্গ। কিন্তু তার আশপাশে ছড়িয়ে থাকা বহু পাহাড়ি গ্রাম, যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য ঠিক যেন ছবির মতো, এখনও রয়ে গিয়েছে পর্যটন মানচিত্রের বাইরেই। সড়ক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব, সঙ্গে প্রচারের ঘাটতি, এই সব মিলিয়েই নজর এড়িয়ে যাচ্ছে ওই অঞ্চলগুলো।
সেই অচেনা জায়গাগুলোকেই সামনে আনতে এবং গ্রামীণ পর্যটনের সম্ভাবনা তুলে ধরতে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর সিকিমের গ্যাংটকে আয়োজিত হচ্ছে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম কনক্লেভ’। আয়োজন করেছে ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন (এতোয়া)।
সাংবাদিক বৈঠকে এতোয়ার সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, “কাঞ্চনজঙ্ঘাকে কেন্দ্র করে হিমালয়ের কিছু প্রত্যন্ত ও অপ্রচলিত পর্যটনস্থলকে তুলে ধরতেই এই কনক্লেভের আয়োজন করা হচ্ছে গত তিন বছর ধরে। এবারে আমরা আরও কিছু নতুন গ্রামকে পর্যটনের খাতে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি।”
যদিও নেপালে সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে সে দেশের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারছেন না, তবুও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি দেবাশিস মৈত্র।
অন্যদিকে, দার্জিলিং পাহাড়েও পর্যটন প্রচারে জোর দিচ্ছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে এবারে লামাহাটাকে বেছে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রস্থল হিসেবে। ২৭ সেপ্টেম্বরের কর্মসূচির মধ্যে থাকছে ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা।
জিটিএ-র পর্যটন বিভাগের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা জানিয়েছেন, লামাহাটা হোটেল ও হোমস্টে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হচ্ছে।
পাহাড়ের অজানা সৌন্দর্য ও গ্রামীণ পর্যটনকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরার এই সমস্ত প্রয়াস আগামী দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন পর্যটনমহল।
কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে ছড়িয়ে থাকা অপার সৌন্দর্য যেন আর নিভৃতে না থাকে, সকলের সামনেই যেন এই সৌন্দর্যের ডালি বিকশিত হতে পারে, এই আশাতেই নতুন বিকল্প খুঁজে পেতে চাইছে পর্যটন সার্কিট।