Dooars Jungle Safari: জঙ্গল সাফারিতে এই জঙ্গলগুলিতে অন্যতম আকর্ষণ জিপে করে জঙ্গলে ঘোরার আনন্দ নিতেই দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন দফতরের তরফে জঙ্গলে ঢোকার জন্য কোনও ফি দিতে হবে না। তারপরই জঙ্গল সাফারি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
যেহেতু বন দফতরের পক্ষ থেকে জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য কোনওরকম প্রবেশমূল্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না .তাই অনলাইনের মাধ্যমে সিট বুক করার সুবিধা আপাতত বন্ধ আছে। তাই পর্যটকদের সাফারি নিশ্চিত করার জনা কাউন্টার থেকে অনুমতি পত্র দেওয়া হবে। যাতে কেউ সিট বুক করে পরে হাজির হলে ওই সিট খালি না যায়। তাতে যারা উপস্থিত থাকবেন তারা বঞ্চিত হবেন। তাই সাফারির দিন, সাফারি শুরু হবার একঘণ্টা আগে থেকে সাফারির অনুমতিপত্র দেওয়া হবে (কেবলমাত্র জিপসি সাফারির ক্ষেত্রে)।
১. সমস্ত অনুমতিপত্র কাউন্টার থেকে সঠিক সময়ে সংগ্রহ করতে হবে।
২. পর্যটককে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার সময় কোনওরকম দালালের এজেন্টের মাধ্যমে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা যাবে। না।
৩. যে কোনও একজন পর্যটক জিপসি সাফারির জন্য সর্বোচ্চ ৬টি এবং হাতি সাফারির জন্য সর্বোচ্চ ৪ টি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করাতে পারবেন এবং অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার সময় সকলের আসল সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
৪. আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে অনুমতিপত্র প্রদান করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনোরকম অনুমতি পাওয়া যাবে না।
৫. জিপসি গাড়ির ভাড়া এবং গাইডের ভাড়া বন দফতরের কাউন্টারে জমা নেওয়া হবে না এবং সেই ভাড়া সংক্রান্ত রসিদ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট গাইড এবং জিপসি গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
৬. কেবলমাত্র হাতি সাফারির জন্য অনুমতিপত্র আগের দিন সন্ধ্যে ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে। এ ক্ষেত্রেও পর্যটককে নিজে কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
৭. গাইডের বিধিনিষেধ মেনে পরিদর্শন করুন এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ মেনে চলুন। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।