
দার্জিলিং কিন্তু দার্জিলিং নয়। শুনে অনেকেই অবাক হবেন। এককথায় বলতে গেলে মিনি দার্জিলিং। জানেন কি বীরভূম -ঝাড়খণ্ড সীমানায় রয়েছে এই দার্জিলিং, যার নাম 'মিনি দার্জিলিং'। নামটি অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া ও পর্যটকদের দেওয়া নাম। কোথায় সেই 'মিনি দার্জিলিং' জানতে আজতক বাংলার এই প্রতিবেদন।
দার্জিলিং নামটার মধ্যেই একটা যেন মায়ার টান রয়েছে। যাঁরা পাহাড় পছন্দ করেন তারা একদিনের ছুটিতেই ছুটে যান দার্জিলিং অথবা গ্যাংটক। কম খরচের গন্তব্য হিসাবে দার্জিলিং-কে বেছে নেন সকলে। যা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষকে টেনে আনে এখানে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম দেখার জায়গা এই দার্জিলিং। পাহাড়ি এই শহর তার সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। দার্জিলিং বিখ্যাত তার অপরূপ সৌন্দর্য আর চায়ের জন্য। তবে সেই আসল দার্জিলিং ছাড়াও আমাদের রাজ্যে রয়েছে একটি 'মিনি দার্জিলিং'।
এই স্থানকে মিনি দার্জিলিং বলা হয়। বলার পিছনে যথেষ্ট কারণও রয়েছে। এই জায়গার আবহাওয়া আর্দ্র। সারাবছরই আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করে এখানে। প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয় এখানে। যা এখানকার আর্দ্রতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। ভিজে আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের সময়টা এখানে কনকনে ঠান্ডায় মোড়া থাকে। তবে এবার হয়তো ভাববেন কোথায় সেই জায়গা? বীরভূমের শেষ সীমানা ভেরাপাহারি ঝাড়খণ্ড এলাকায় অবস্থিত এটি। মুলুটি মা মৌলীক্ষা দেবীর মন্দির থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মিনি দার্জিলিং। আর বীরভূমের রামপুরহাট থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে হাড় হিম করা ঠান্ডা। দার্জিলিংয়ে যেমন আবহাওয়ার ছোঁয়া পাওয়া যায়, ঝাড়খণ্ডের এই জায়গায় প্রায় তেমনই আবহাওয়া দেখা যায়। যা একে করে তুলেছে ভারতের মিনি দার্জিলিং। শুধু কী তাই,এখানে চারধারে গাছ পালা, পাহাড় দেখে মনে হবে ঠিক যেন এক টুকরো দার্জিলিং।
ঝাড়খণ্ডের ভেরাপাহারিকে কেবল মিনি দার্জিলিংই বলা হয় না। তার সঙ্গে একে গরিব মানুষের দার্জিলিংও বলে থাকেন অনেকে। সারাবছরই একটা নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া থেকে যায়। এখানের মানুষের বসবাস ও পাহাড়ি এলাকার মানুষের মতো।তাই একদিনের ছুটিতে বীরভূমে এলে আপনি অবশ্যই হাতে মাত্র কিছুটা সময় নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে। আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় এক বিশেষ জায়গা অধিকার করবে এই মিনি দার্জিলিং।
সংবাদদাতাঃ শান্তনু হাজরা