Vistadome Coach: ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠান করে ফুল মিষ্টি বিতরণ করে চালু হয়েছিল পর্যটক স্পেশাল ভিস্টাডোম কোচ। শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত। যদিও অনেকেই তাকে পুরোপুরি ভিস্তাডোম বলতে নারাজ। কারণ এর বেশিরভাগ অংশটাই ঢাকা। সাধারণ ট্রেনের চাইতে বেশি বহির্বিশ্ব দর্শন করার খানিকটা সুযোগ বেশি এই ট্রেনে। কিন্তু চালু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে রেলের এই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ফলে বার রুট বদলের চিন্তাভাবনা করছে রেল। প্রথম দিকে পর্যটকদের মধ্যেও ব্যাপক উন্মাদনা ছিল। ছুটির দিন, উইকএন্ড বা পর্যটনের মরশুম হলে তো টিকিট পাওয়াই দায় হত। তবে ধীরে ধীরে সেই উন্মাদনা কমেছে। এখন যাত্রীর অভাবে ডুয়ার্স রুটে বন্ধের মুখে সেই ট্রেন। ভিস্টাডোমকে বাঁচাতে রুট বদলের কথা ভাবছে রেল। আর তাতে নতুন রুট যুক্ত হয়ে সরাসরি লাটাগুড়ি-গরুমারা-চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনগুলি রুটে যুক্ত হতে পারে। ফলে তাতে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র জুড়তে পারে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি স্টেশন ভিস্তাডোম ট্রেন পাবে।
বুধবার আলিপুরদুয়ার ডিআরএম অফিসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম জানান, বর্তমান রুটে ভিস্টাডোমের চাহিদা কমেছে। তাই বিকল্প রুটে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে আবার এই রুটে ফিরিয়ে আনা হবে। আপাতত এনজেপি থেকে বুকিং মিললেও ফেরার ট্রেনে বুকিং তলানিতে ঠেকেছে।
নতুন রুট কী হতে পারে?
এনজেপি, শিলিগুড়ি হয়ে নিউ মাল জংশন, মালবাজার, লাটাগুড়ি, দোমোহনি হয়ে চ্যাংরাবান্ধা রুটে চলাচল করতে পারে সেই ট্রেন। এই রুটটিতে বর্তমানে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে। সেখানে একটি নতুন ট্রেনের দাবি দীর্ঘদিনের। চাহিদা থাকায় সেখানে একটি নতুন ট্রেন চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের। সেই নতুন ট্রেনটির সঙ্গে ভিস্টাডোম কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কেন এই সমস্যা তৈরি হলো? মানুষের আগ্রহ কেন কমে যাচ্ছে?
তা নিয়ে রেলের সমীক্ষার দরকার বলে মনে করছেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে পর্যটকরা বলছেন, অস্বাভাবিক বেশি ভাড়া, আবার কেউ বলছেন শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত রাস্তায় দু'পাশে জঙ্গল এবং এক ঝলক পাহাড় ছাড়া তেমন কিছু দেখার নেই। এমনকী এই জঙ্গল চিরে যাওয়ার সময় দু'পাশে বিভিন্ন পশু পাখি দেখা যায়, খুব একটা তাও নয়। কালেভদ্রে এক আধটি দেখা মিললেও তাতে পর্যটকদের আশ মেটার কথা নয়।