Kalimpong Tourism Hills: মেঘ-বৃষ্টি আর লোকাল ওয়াইন, বর্ষায় কালিম্পংয়ের এই লোকেশনে না গেলে ঘোরাই বৃথা

Kalimpong Tourism Hills: যে জায়গাগুলি বর্ষার পাহাড়কে মোহময়ী করে তুলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের মাঝেই রয়েছে এই ছোট্ট গ্রামটি। শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। শেয়ার গাড়িতে অনায়াসে চলে আসা যায়।

Advertisement
মেঘ-বৃষ্টি আর লোকাল ওয়াইন, বর্ষায় কালিম্পংয়ের এই লোকেশনে না গেলে ঘোরাই বৃথাঅপরূপ সৌন্দর্যে ভরা কালিম্পংয়ের খড়কাগাঁও

Kalimpong Tourism Hills: চুপ করে কটেজের বারান্দা বা সামনের লনে বসে আছেন। হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। কিংবা আচমকা মেঘে ঢেকে গেল আশপাশ। তখন হয়তো কয়েক হাত দূরের জিনিস দেখতে পাচ্ছেন না। তবে তা কয়েক মিনিটের জন্য। আসতে আসতে আবার চারিদিক ফাঁকা, পরিষ্কার। তখন দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা ঝকঝকে চেহারা নিয়ে হাসছে। এমন সব মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে হলে জীবনে একবার হলেও আসতে হবে কালিম্পংয়ের খড়কাগাঁওতে। সুন্দর বললে এই জায়গাকে কম বলা হয়। যাঁরা ঘুরে গিয়েছেন, তাঁরা ছাড়া কেউ জানেন না। 

অনেকেই বর্ষায় পাহাড় এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন। রাস্তাঘাট, বিপর্যয়ের কথা মাথায় রাখলে সেটা ভুল নয়। কিন্তু বর্ষায় পাহাড় সবচেয়ে সুন্দরী। নিজে না দেখলে সেই সৌন্দর্য কথায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আর যে জায়গাগুলি বর্ষার পাহাড়কে মোহময়ী করে তুলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের মাঝেই রয়েছে এই ছোট্ট গ্রামটি। শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। শেয়ার গাড়িতে অনায়াসে চলে আসা যায়।

সব ঋতুতেই ঘুরে আসা যায়। তবে বর্ষায় এর চেহারাই অন্যরকম। বর্ষাকালে আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকে বলে তেমন ভাবে কাঞ্জনজঙ্ঘার দেখা মেলে না। তবে পাহাড়ের সৌন্দর্য দুচোখ ভরে উপভোগ করতে পারবেন। বর্ষাকালে পাহাড়ের গায়ে ভেসে বেড়ায় মেঘ। যেন গা ছুয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে মেঘেদের সারি। দেখে মনে হবে কোনও মেঘের দেশে পৌঁছে গিয়েছেন আপনি। হোমস্টের ব্যালকনিতে বসে অসাধারণ লাগে পাহাড়ের সেই দৃশ্য উপভোগ করতে। প্রায় সারাটা দিন এই দৃশ্য দেখে উপভোগ করা যায়।

এনজেপিতে নেমে গাড়ি ভাড়া করে চলে আসা যায় খড়কাগাঁও। আসার পথে মেল্লিবাজার এর কাছে একটু দাঁড়াতে পারেন। এখান থেকে তিস্তা অপূর্ব। রাস্তার পাশের দোকানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মোমো খেতে ভুলবেন না। খড়কা গাঁওতে একাধিক হোম স্টে রয়েছে। আগে থেকে বুক করে আসবেন। রাস্তার দুপাশে পাইন বার্চ গাছের সারি। তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা। কাছে পিঠে রয়েছে একাধিক ঝরনা। আসলে খড়কা শব্দের অর্থ গবাদিপশুর চরণভূমি। এমনটাই বলেন অনেকে। 

Advertisement

কাছে পিঠে কী কী দেখতে পারেন?
এখান থেকে কাছেই মানেদারা ভিউ পয়েন্ট। হোম স্টে থেকে খানিকটা হেঁটে সেখানে যেতে পারেন। কাছেই পঞ্চমী ফলস।এখানে বলে রাখা ভালো যারা ওয়াইন খেতে ভালোবাসেন তারা একবার এখানকার লোকাল ওয়াইন টেস্ট করে দেখতে পারেন। অন্যরকম স্বাদ। খারাপ লাগবে না। বছরের যে কোন সময় দেই খড়কা গাও আসা যায়।একেক ঋতুতে খড়কা গাঁওয়ের রূপ এক এক রকম। এখান থেকে ডেলো , দূরপিন দারা,লাভা লোলেগাঁও রিশপ ঘুরে আসতে পারেন। এনজেপি থেকে গাড়িতে খরকাগাঁও সাড়ে তিনঘণ্টা মতো সময় লাগে।

 

POST A COMMENT
Advertisement