Winter And Snowfall Forecast Hills: পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি না হলেও মিগজাউমের প্রভাবে আবহাওয়া হয়েছে বেশ খানিকটা শীতল। সিকিম পাহাড়ে তুষারপাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখনও নতুন করে তুষারপাতের কোনও খবর নেই। শিলিগুড়ি থেকে উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার কোচবিহার সহ গোটা উত্তর অংশে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে। যদিও তাপমাত্রা খুব নেমেছে তা নয়, তবে আগামী কয়েক দিনে তা নামবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
শীত ঢুকবে কবে?
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শীত ঢুকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, উত্তুরে হাওয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত বাধা কেটে গিয়েছে। ঝঞ্ঝা যত শক্তিশালী হবে, ততই শীতের কামড় টের পাওয়া যাবে। বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল উত্তুরে হাওয়া। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রবেশে উত্তুরে হওয়া বৃহস্পতিবার থেকে হু হু করে ঢুকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে তাপমাত্রা পতন ঘটবে। শক্তিশালী না হলেও সেটি উত্তুরে হাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছে।
তাপমাত্রা নামবে কতটা?
শুধু পাহাড় লাগোয়া শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার কিংবা জলপাইগুড়ি, কালিম্পং দার্জিলিং নয়; বরং গৌড়বঙ্গের মালদা, বালুরঘাটেও তাপমাত্রা হুহু করে নাম্বার সম্ভাবনা রয়েছে। বলা হয়েছে শুক্রবার থেকে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। রাতের তাপমাত্রা কমবে। আগামী দু'তিন দিনে দু-তিন ডিগ্রি করে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
তুষারপাতের পূর্বাভাস
ইতিমধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় প্রায় সর্বত্রই ৬-৭ ডিগ্রি গড়ে তাপমাত্রা ছিল। মনে করা হচ্ছে বড়দিনের আগেই তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আর তার ফলে পর্যটনের ক্ষেত্রে একটা দুর্দান্ত সংযোগ তৈরি হবে। এই সময় পর্যটকের একটা ঢল থাকে পাহাড় সহ উত্তরবঙ্গে। বিশেষ করে পাহাড়ের তুষারপাতের খবর পেলে অনেকেই সমস্ত জায়গা থেকে ছুটে আসেন পাহাড়ে। আশা করা যাচ্ছে বছরের শেষ সপ্তাহে তুষারপাত হতে পারে। এই আশাতেই রয়েছে গোটা সার্কিট।