Dooars Toy Train: দার্জিলিংয়ে টয়ট্রেন আপাতত বন্ধ। ফলে অনেক পর্যটকেরই মন খারাপ। কিন্তু এখন বিকল্প স্বাদ পেতে পারেন ডুয়ার্সেও। পাহাড়ি পথে না হলেও, দূরে পাহাড় দেখতে দেখতে টয়ট্রেনে কয়েক চক্কর ঘুরতে পারেন। সেই সুযোগ এনে দিয়েছে বন দফতর। দফতরের পার্ক ও উদ্যানপালন বিভাগের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একদিকে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য, বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত উদ্যানে টয়ট্রেন চেপে ঘুরে দেখার সঙ্গে পাহাড়ি ঝোরার ওপর তৈরি সেতুতে সেলফি সহ খাঁচা বন্দী প্রাণীদের সঙ্গে খুনসুটি, সবকিছুই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন পর্যটকরা। ডুয়ার্সের মালবাজারের পরিমল মিত্র উদ্যান, যা মালবাজার পার্ক নামেই কয়েক দশক থেকে বিখ্যাত। সেখানেই এই সুযোগ মিলবে। তবে এই ট্রেনের জন্য কোনও ট্র্যাক থাকবে না। এটি ট্র্যাকলেস টয়ট্রেন। এই সুযোগ রয়েছে এখন শুধু শিলিগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি পার্ক ও সূর্যসেন পার্কে।
মালবাজার পার্ককে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মালবাজার পরিমল মিত্র উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ হল সৃষ্টিশ্রী, চা বাগান অধ্যুষিত আদিবাসী জনজাতির মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রেস্টুরেন্ট কাম সেলস সেন্টার। পরিবার নিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত উদ্যান ঘুরে মনের তৃপ্তির পর পেটের খিদে মেটানোর এক আদর্শ কুটির।মালবাজারে এলে এরাই ‘ওয়েলকাম’ জানাবেন পর্যটকদের। ডুয়ার্স ভ্রমণের অন্যতম প্রবেশ পথ জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমা। আর এই মালবাজারেই রয়েছে পরিমল মিত্র উদ্যান, যা শুধু প্রকৃতির মাঝে মনোরম পরিবেশে একটি পার্ক নয়, বলা যেতে পারে ডুয়ার্সের ছোট সংস্করণ।
কী কী মিলবে?
বৈদ্যুতিক উনুনে তৈরি হয় ডুয়ার্সের বিশেষ পাহাড়ি লঙ্কার চাটনি সহ সুস্বাদু মোমো, থুকপা, চাউমিন সঙ্গে ডুয়ার্সের বিখ্যাত চা। চা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতেই পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য রয়েছে স্থানীয় মহিলাদের হাতে তৈরি বাঁশ, বেত, শুকনো কাঠ দিয়ে নির্মিত গৃহসজ্জার নানান উপকরণ। পুজোয় ডুয়ার্সে যাঁরা ঘুরতে আসবেন, সেই সব পর্যটকদের উদ্দেশ্যে সৃষ্টিশ্রীর অন্যতম পরিচালক সিতামুনী ইন্দুয়ার জানান, ”সপ্তাহের শনি এবং রবিবার এই দুদিন বহু মানুষ আসেন এই উদ্যানে, সামনেই পুজোর ছুটি। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরাও বিভিন্ন স্বাদের খাবার সহ স্থানীয়দের হাতে তৈরি সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাতে।”