Sikkim Snowfall: বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকল সিকিম। শীতের শুরুতেই সময়ের আগে তুষারপাতের ফলে আচমকা পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের সমস্ত নজর এখন ঘুরে গিয়েছে সিকিমের দিকে। পুজোর মরশুমে খারাপ রাস্তা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সিকিমের পর্যটনে যে ধাক্কা লেগেছিল, আচমকা তা শুধরে নেওয়ার সুযোগ চলে এসেছে।
ছাঙ্গু-সমোগো এলাকায় রবিবার রাত থেকে হালকা তুষারপাত শুরু হয়েছে। বছরের প্রথম তুষারপাত হিসেবে তা রেকর্ড হয়েছে। সময়ের আগে তুষারপাত শুরু হওয়ায় সিকিম বিমুখ পর্যটককে ফের পাহাড়ের দিকে ঠেলে দেবে বলে আশাবাদী পর্যটন সার্কিট। অনেকেই তুষারপাতের খবর পেয়ে গাড়ি ভাড়া করে এলাকায় ছুটছেন বরফপাত দেখতে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অব ট্যুরিজমের কর্ণধার রাজ বসু জানিয়েছেন, বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থেকেছে সিকিম পাহাড়। আগামী কয়েকদিনে আরও তুষারপাত হতে পারে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, তুষারপাতের ফলে পর্যটকদের নজর ফের সিকিমের দিকে ঘুরবে। যে ক্ষতি হয়েছে আবহাওয়ার কারণে, এখন প্রকৃতির আশীর্বাদেই সেই ক্ষতি পূরণ হতে পারে বলে তাঁর দাবি।
সিকিম যাওয়ার সোজাপথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যুদস্ত হয়ে রয়েছে। বর্ষার শুরু থেকেই বিগত ৪ মাসে এই রাস্তাটিই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সার্কিটের কাছে। প্রশাসন ও পর্যটনের কাছে এই রাস্তা এখন গলগ্রহ। সিকিমে যাঁরা কাজে ও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যাঁদের বুকিং হয়ে গিয়েছে, তাঁদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি রুট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই রুট ফলো করলে যাত্রীদের অনেকটা সুবিধা হবে। উত্তর সিকিম এখনও খোলেনি।
তবে যে এলাকায় বরফ পড়ছে, সেগুলি তুলনামূলক ভাল জায়গায় পূর্ব সিকিমের অন্তর্গত। সেদিকে ঝুঁকি কম। রাস্তাও ভাল। আপাতত সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খোলা রয়েছে। ছোট ও মাঝারি গাড়ি যাতায়াত করছে ওই রাস্তায়। ফলে সেদিক দিয়ে যাওয়া যাবে।
অন্যদিকে ডুয়ার্সের ডামডিম হয়ে লাভা-গরুবাথান রুটেও যাওয়া যাবে। তবে এই রুটে সিকিম পৌঁছতে শিলিগুড়ি থেকে ৭ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। যেখানে জাতীয় সড়ক দিয়ে ৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তবে তুষারপাতের টানে অনেকেই সিকিমমুখো হবে আগামী কয়েকদিনে বলে আশাবাদী পর্যটন সার্কিট।