Sikkim Tourism Lachung Lachen: পুজোর আগেই আচমকা সিকিমে বিপর্যয় ঘটে। যার ফলে সিকিমে বিশেষ করে সুন্দর উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় প্রচুর মানুষের। রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা পর্যটন সার্কিটে। দারুণ ছুটির মরশুম কাটানোর প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন পর্যটকরা, তখনই এই বিপদ আসায় একেবারে হতভম্ব হয়ে পড়ে গোটা রাজ্য। যার প্রভাব পড়ে লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায়। অবশেষে দেড় মাস পড়ে চুংথাংয়ে সেতু চালু হওয়ার ফলে ফের উত্তর সিকিম জুড়ে গিয়েছিল রাজ্যের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে।
তবে উত্তর সিকিম খুললেও নতুন করে কিছু জায়গায় রেস্ট্রিকশন চালু করা হয়েছে। সিকিম সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি জায়গাগুলির উপর কোনও অসুবিধা না থাকলেও, অতি উত্তরের কয়েকটি জায়গা খুলে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ নভেম্বর সোমবার সিকিম পর্যটন দফরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কোথায় কোথায় যাওয়া যাবে না?
২০ নভেম্বর সোমবার সিকিম পর্যটন দফরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত পর্যটকেরা সিকিমে এই মুহূর্তে ঘুরতে আসছেন, তাঁরা উত্তর সিকিমে ঢুকতে পারলেও কয়েকটি জায়গায় যেখানে অতি উত্তর, সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে এখনই অ্যাক্সেস করতে পারবেন না। মঙ্গন, জঙ্গুখোলা, লাচেন এই মুহূর্তে যাওয়া যাচ্ছে না।
কোন কোন জায়গা ঘুরতে পারবেন?
তবে সিকিমের বাকি এলাকাগুলি এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে যথারীতি তারা ঘুরতে পারবেন। কোন কোন জায়গা ঘুরতে পারবেন সেই সমস্ত একটা সম্ভাব্য তালিকাও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, গেয়ালসিং এর মত জায়গাগুলি নিরাপদ ও এখানকার আবহাওয়া ও পরিবেশ এই মুহূর্তে উৎসবের মরশুমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই সঙ্গে সিকিমকে এশিয়ার অন্যতম শীতল ডেস্টিনেশন হিসেবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তরফ থেকে সিকিমকে বেছে নেওয়ায় তাঁরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
গত ৪ অক্টোবর তিস্তার হড়পা বানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১৪টির বেশি ছোট বড় সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। প্রায় দেড় মাসের মাথায় চুংথাং দিয়ে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি রাজ্য বেলি সেতু দিয়ে জুড়ছে। মাসখানেকের রাতদিন চেষ্টার পরে সেনাবাহিনী ও ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন’ তৈরি করেছে বেইলি সেতুটি। গত মঙ্গলবার সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যায় তা খোলা যায়নি। তবে চলতি সপ্তাহে রাস্তা খুললেও, পর্যটকদের ছাড়পত্র মিলবে আরও ক’দিন পরেই। বেইলি সেতুটি চুংথাং ও পেগং-কে জুড়েছে। সেতুটি বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করে খুলে দেওয়া হয়েছে।
লাচুংয়ে যেতে আর বাধা নেই
গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে টুং যেতে হত। সেখান থেকে চুংথাং ঢুকতে হয়। টুং থেকেই উত্তর সিকিমের পারমিট দেওয়া হয়। এই রাস্তাটি আপাতত বন্ধ হয়ে রয়েছে। বদলে গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে সংকলন অবধি রাস্তা প্রথমে খোলা হয়। মঙ্গন এবং সংকলনের মাঝেও সেতু তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে জঙ্গু যেতে হয়। এ বার সংকলন থেকে পেগং হয়ে চুংথাং পৌঁছনো যাবে। সেখান থেকে দু’দিকের আলাদা রাস্তায় লাচুং ও লাচেন জুড়বে।