কেউ ঘুরতে গেলেন আর হোটেল-হোমস্টেতে ঘুরে এসে নম্বর নিয়ে ফেসবুকে দিয়ে ট্যুর অপারেটর হয়ে ব্যবসা করলেন। তা আর হচ্ছে না। আপনি ব্যবসার মুনাফা লুটছেন, অথচ ব্যবসার ন্যূনতম আইন-কানুন মানছেন না, তাতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আপনার কোনও রেজিস্ট্রেশন, জিএসটি বা অন্যান্য ব্যবসায়িক নথি না থাকায়। সিকিম সরকার এবার এই সমস্ত উড়ো এজেন্টদের উপর খড়্গহস্ত হতে চলেছে।
সরকারি স্বীকৃতি ছাড়া কোনওভাবেই পর্যটন ব্যবসা করা যে যাবে না, তা স্পষ্ট করে দিল সিকিম সরকার। তবে যাঁরা এভাবে ব্যবসা করছেন, তাঁরা যদি চান তাহলে নথিভুক্ত করে তাঁদের ব্যবসা চালাতে পারেন। তার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে প্রেম সিং তামাং সরকার। তা না করে কেউ যদি ব্যবসা করে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে, তাও সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন মরশুমে গাড়ি থেকে হোটেল ভাড়া, পর্যটনের নানা ক্ষেত্রে বিস্তর অভিযোগ ওঠে সিকিমে। বেআইনিভাবে চড়া ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পৌঁছায় পর্যটনমন্ত্রকেও, যা নিয়ে মন্ত্রকের তরফে সিকিমকে সতর্কও করা হয়। কিন্তু গাড়িচালকদের সংগঠনগুলিকে সতর্ক করার বাইরে তেমন কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি সরকার। কারণ সিংহভাগ চালক এবং পরিবহণ ব্যবসায়ীর পর্যটন স্বীকৃতি সংক্রান্ত নথি না থাকায় বা তাঁদের নাম পর্যটন ব্যবসায়ী হিসেবে নথিভুক্ত না থাকায় সরকার ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। এবার থেকে তাদেরও নথিভুক্ত করেই ব্যবসা করতে পারবে। ফলে কোনও গাড়ির নম্বর দিয়ে পর্যটকরা অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।
সিকিমের পর্যটন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বিজেতা ছেত্রীর জানিয়েছেন, নাম নথিভুক্তির ফলে অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা যেমন সম্ভব হবে, তেমনই পর্যটনে মানোন্নয়নে জোর দেওয়া যাবে। পশ্চিমবঙ্গের তরফেও পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীদের নাম নথিভুক্তি শুরু হয়েছে। সরকারি তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে। সংগঠনটির তরফে ইতিমধ্যে সবমিলিয়ে চারটি শিবির করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যের তরফে শেষ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। অনেকেই এখনও নাম নথিভুক্ত করেনি বলে খবর মিলেছে।