Orange village Of North Bengal: কাশ্মীরে যেমন আপেল বাগান, তেমনই দার্জিলিংয়ের কমলা বাগান। এই কমলালেবুকে কেন্দ্র করে কার্শিয়াং এবং দার্জিলিং জেলা প্রচুর টাকা রাজস্ব আদায় করে প্রতি বছর। আর সেই কমলালেবু বিক্রি করে হোক কিংবা কমলা বাগানে পর্যটক ঘুরিয়েই হোক। এবার আরও একটি অজানা ডেস্টিনেশন কমলা পর্যটনের অংশ হতে চলেছে। তাও আবার দার্জিলিং পাহাড়ে নয়, এই কমলা পর্যটন চালু হতে চলেছে ডুয়ার্সে (Dooars)।
কমলা পর্যটন (Orange Tourism)। পর্যটকদের কাছে নতুন কমলা ডেস্টিনেশন চালু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গে। আমরা জানি কমলা মানেই পাহাড়। দার্জিলিং বিশেষ করে দার্জিলিংয়ের সিটং (Darjeeling) এলাকার কমলা বাগান। যেটা দার্জিলিংয়ের কমলা বলে বিখ্যাত। সেটি শীতের মরশুমে ঠাসা থাকে পর্যটকে। সকলেরই ইচ্ছে থাকে কমলা বাগান ঘুরে দেখা।
কোথায় এই কমলা গ্রাম?
আলিপুরদুয়ারের বক্সা পাহাড়ের কমলালেবু গাছ রয়েছে প্রচুর। কিন্তু তার প্রচার তেমনভাবে বাইরের জগতের কাছে নেই। সেই জায়গাটিকে এবার তুলে ধরতে কমলা পর্যটন চালু করতে চলেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। যাতে এটিকে সার্বিকভাবে পরিপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা যায়। বক্সা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় যে হোমস্টেগুলি রয়েছে তার আশপাশে প্রচুর কমলালেবুর গাছ রয়েছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এখানে পর্যটকরা বেড়াতে এলে পাকা কমলালেবু সংগ্রহ করতে পারবেন। সরকারি উদ্যোগে কিভাবে অরেঞ্জ ট্যুরিজমকে তুলে ধরা যায় তার পর্যালোচনাও চলছে।
স্থানীয়দের দাবি, দার্জিলিংয়ের মত বক্সাতেও একই ধরনের সুস্বাদু কমলালেবু পাওয়া যায়। যা অনেকেই বাইরের পর্যটকেরা জানেন না। তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরা চাইছেন আলিপুরদুয়ার দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা হোক। বক্সার কমলালেবু সংক্রান্ত আকর্ষণীয় ছবি ও পাহাড়ের বিভিন্ন সৌন্দর্য ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যটন সাইটে তুলে ধরার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে।
বক্সার কমলা বাগান
বক্সা পাহাড়ের বক্সা ফোর্ট, লেপচাখা, সদর বাজার সহ বিভিন্ন পাহাড়ের বিভিন্ন পাদদেশে বেশ কিছু এলাকায় বাগান রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে কমলালেবুর বাগান রয়েছে। গত বছর প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন কমলালেবুর ফলন হয়েছিল এ বছর নতুন করে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কমলালেবুর চারা বিক্রি করা হয়েছে। যা সব মিলিয়ে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আলাদা করে তৈরি করা যেতে পারে। "হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন ডুয়ার্সে এখনও প্রচুর জায়গা আনএক্সপ্লোর্ড রয়েছে। যেগুলি সামনে নিয়ে এসে বাইরে জগতের সামনে তুলে ধরলে আখেরে লাভই হবে। সব সময়ই বিকল্প পর্যটন ব্যবস্থা তৈরি রাখা দরকার। যাতে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ একই সময়ে জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারে।"