বাংলাদেশে আন্দোলনের সময় যে পুলিশদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের হত্যাকারীদেরও বিচার হোক

সমগ্র আন্দোলনটির সফলতার একক কৃতিত্বের দাবিদার হিসেবে তারা এ কথাগুলি প্রকাশ করেছিলেন।  একক দাবিদার এজন্য দরকার ছিল, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের সকল স্তরের প্রায় সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন ও তার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন, এর জন্য তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।

Advertisement
বাংলাদেশে আন্দোলনের সময় যে পুলিশদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের হত্যাকারীদেরও বিচার হোক গোলাম মহম্মদ কাদের, চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি
হাইলাইটস
  • আন্দোলনকারীরা অস্ত্রসহ হত্যা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল
  • বিচার সম্পর্কে মতামত
  • সংস্কার সম্পর্কে মতামত

ছাত্রদের কোটা সংষ্কার আন্দোলন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। দলমত নির্বিশেষে দেশের প্রায় ৯৯% ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে। জনগণের পক্ষ থেকে এ আন্দোলনটি ছিল অহিংস ও সশস্ত্র আক্রমণ প্রতিরোধ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।  তবে আন্দোলন সফল হওয়ার পর ছাত্র সমন্বয়করা ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ নিজেরাই মুখ খুলতে শুরু করলেন। তাদের বক্তব্যে জানা গেল,  ছাত্রদের এই আন্দোলন নিরস্ত্র ও অহিংস আন্দোলন ছিল না। আন্দোলনকারীরা অস্ত্রসহ হত্যা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল।

কিং সজল নামে একজন আন্দোলনকারী নিজেই স্বীকার করেন যে, 'বনানী সেতু ভবনে ছাত্র আন্দোলন মূল ভূমিকা রাখি। আমি সেতু ভবনে হামলা চালাই। পুলিশ ভিতরে ঢোকার পরেও আমি হামলা চালাই।' হামলার বিষয়ে তিনি আরটিভি-ও ৭১ টেলিভিশনে ফুটেজ প্রদর্শন করেন।  হাসিব আল ইসলাম বলেন, “আইন যদি মানতে যেতাম তাহলে এই বিপ্লবগুলি হত না, যদি মেট্রোরেলে আগুন না দেওয়া হত, যদি পুলিশকে না মারা হত, তাহলে বিপ্লবটা এত সহজেই অর্জিত হত না।” সূত্র জনতার নিউজ নামে একটি পেজ (ভিডিও ক্লিপ আছে)।
 
তাছাড়া ২১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে তাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও বর্তমান অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া ঢাকা টাইমস টু ডে-তে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, “৫ তারিখ যদি আমরা সফল না হতাম তাহলে আমরা অস্ত্র তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিতাম এবং নাহিদ ভাই ভিডিও বার্তাও রেডি রেখেছিল। আমিও কী ঘোষণা দিব, সেটাও রেডি ছিল।” (ভিডিও ফুটেজ আছে) এই সংবাদটি ২১ মার্চ, ২০২৫ তারিখ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আরও গভীরে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন মনে করি। 

সমগ্র আন্দোলনটির সফলতার একক কৃতিত্বের দাবিদার হিসেবে তারা এ কথাগুলি প্রকাশ করেছিলেন।  একক দাবিদার এজন্য দরকার ছিল, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের সকল স্তরের প্রায় সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন ও তার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন, এর জন্য তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। আন্দোলনে সমন্বয়কদের দাবি হল, শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, তারা আন্দোলন করেছে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের একটি রাষ্ট্রকাঠামো গঠনের জন্য।  সে কারণে, তারা দাবি করলেন, আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার এবং ইতিপূর্বে সংগঠিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার তাদের মতামত অনুযায়ী ও তাদের মন মত একটি নির্বাচন। 

Advertisement

রাষ্ট্রীয় সে কাঠামোর রূপরেখা সমন্বয়করা যেটা বর্ণনা করলেন,  তাতে মোটামুটি ভাবে সম্প্রদায়িক রাজনীতি বা অনেকটা পাকিস্তান আমলে যে ধরনের রাজনীতি তার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্র, মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্বাসঘাতক, স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম ভুল, এ ধরনের মতবাদ ফুটে উঠেছে, মনে হল।
 
এখন এটাও সুস্পষ্ট হল, জামাত ই ইসলামি ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির এই আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। তারা ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীতেও ছিল, সমন্বয়কদের মধ্যে ছিল, আন্দোলনের পদাতিক বাহিনী হিসেবে কার্যকর ভূমিকাও পালন করে গিয়েছে। সমন্বয়কদের অতীত যতটুকু জানা গেছে, তাতে তারা বেশিরভাগই ইসলামি  শিক্ষায় ও আদর্শে দীক্ষিত তারা বেশির ভাগই অন্তরে জামাত-শিবিরের রাজনীতি ধারণ করে। 
 
বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলাম-এর নায়ের-ই-আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিবিসি নিউজ বাংলা-তে এক সাক্ষাতকারে বলেন, “আমরা মৌলিক ভূমিকা পালন করেছি এবং খুবই সচেতন ছিলাম, এটা যে জামাত-শিবিরের একটা আন্দোলন সেটা যেন প্রকাশিত না হয়। আমরা চেয়েছি একটা সার্বজনীন রূপ দেওয়ার জন্য।” ছাত্র সমন্বয়কদের দাবির প্রেক্ষিতে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে যা ঘটছে সে সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নীচে দেওয়া হল। 

বিচার সম্পর্কে মতামত

বিচার মানে বিচারের নামে প্রহসন নয়। বিচারক ও আইনজীবিরা যদি রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণ পক্ষপাতদুষ্ট হন, সেখানে ন্যায় বিচার আশা করা যায় না। বিচারে দোষী সাব্যস্থ হওয়ার আগে শাস্তি প্রদান আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার পরিপন্থী। উল্লেখিত বিষয় সমূহ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয়।   ছাত্র জনতার হত্যার বিচার হচ্ছে, ভাল কথা, আমরা সমর্থন করি। তবে, আন্দোলনকালীন সময়ে পুলিশ যারা মারা গেছেন, তাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়েও বিচার হওয়া দরকার।

কোন পরিস্থিতিতে কতজন মারা গেছেন ও কতজন আহত হয়েছেন, সে সব বিষয়েও তদন্ত ও বিচার হওয়া আবশ্যক। ছাত্র সমন্বয়কদের দাবি যে, ছাত্ররা অস্ত্র ব্যবহার, হত্যা ও নাশকতা করছে সে বিষয়টি সামনে নিয়ে উপরোক্ত বিষয় সমূহ যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন মনে করি। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী জুলাই আন্দোলনের সময় সারা দেশে পুলিশের উপর হামলায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত অবস্থায় মারা গেছে। এর মধ্যে ৪ ও ৫ অগাস্ট নিহত হয়েছে ৩৯ জন। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পেয়েছি এর চেয়ে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত অবস্থায় নিহত হয়েছে। আমরা চাই নিহতের সঠিক সংখ্যা এবং কীভাবে তারা মারা গেল তার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করা হোক। দায়িত্বরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হোক এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। 

বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনকালে যদি কোনও পুলিশ সদস্য নিহত হয়, তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মানিত করা হয়। আমরা মনে করি কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী বা আহতদেরকে বিনা বিচারে অপরাধী হিসাবে বিবেচনা না করে, তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্ব পালনরত হলে তাঁর যথাযথ মর্যাদা  ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাঞ্ছনীয়। ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ বিদেশ যাত্রাকালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপদেষ্টার (আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া) ব্যাগ থেকে AK47 এর গুলিভর্তি ম্যাগাজিন পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন ম্যাগাজিনটি তার লাইসেন্সকৃত পিস্তলের ছিল। বলা প্রয়োজন ম্যাগাজিনটি গুলিভর্তি ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ পেয়েছে।
 
তাঁর নামে যদি পিস্তল থাকে সেক্ষেত্রে তার নামে ইস্যুকৃত লাইসেন্স নম্বরটি এবং কত তারিখে তিনি লাইসেন্স পেয়েছেন সেই তারিখটি প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আশঙ্কা থেকে যায়, তাঁর কাছে একে-৪৭ এর ম্যাগাজিনই ছিল। সেটা সত্য হলে তার কাছে AK47 আগ্নেয়াস্ত্র ছিল ধারণা করা যায়। কী অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে কী পরিস্থিতিতে, কোথায়, কার উপরে, জানা জরুরি। বি জে শাখাওয়াত ৭.৬২ বোর রাইফেল ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়ে ছিলেন, যা পুলিশ ব্যবহার করে না। সে ক্ষেত্রে এ অস্ত্র কে ব্যবহার করেছেন?
 
ছাত্রদের শরীরে ৭.৬২ বোর এর বুলেট পাওয়ার বিষয়ে, বিঃ জেঃ সাখাওয়াত সাহেব বক্তব্য দেন। তিনি এ প্রশ্ন তোলা মাত্র তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেয়ায় সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে কিনা, যাছাই করা প্রয়োজন।  আন্দোলনকে বেগবান করার উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হওয়ার কৌশল ইতিপূর্বের আন্দোলনেও লক্ষ্য করা গেছে। ফলে, গণহত্যার কিছুটা হলেও আন্দোলনকারীদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে কিনা বিষয়টি যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।
  
দেশ দখলের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যকে যথায়থ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা আবশ্যক। কত জন অস্ত্রধারী আছে, তারা কোথায়, কী কী ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তাদের কাছে আছে, এ গুলি জানা জরুরি মনে করছি।  

Advertisement

সংস্কার সম্পর্কে মতামত

ঐক্যমত কমিশন বাস্তবে দেশে অনৈক্য সৃষ্টি করে চলেছেন। সংস্কার করার কোনও আইনগত বৈধতা  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা কমিশনের নেই। সংবিধানের অধীনে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার ও সংসদই শুধু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে। দেশের প্রায় সকল জনগণের সম্মতি থাকলেই শুধু পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে সুপারিশকৃত সংস্কার সমূহের বৈধতা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৬০% থেকে ৭০% মানুষের মতামত অগ্রাহ্য করে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সংস্কার প্রস্তাবসমূহ গ্রহণযোগ্য নয় ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখি না। 

নির্বাচন সম্পর্কে মতামত

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন আয়োজন করছেন সেখানে অন্যতম বৃহৎ দল আওয়ামী লিগকে অংশগ্রহণ  করতে দেওয়া  হবে না । ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে বাইরে  রাখার প্রচেষ্টা চলছে। যদি শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখা হয়, যেহেতু এখনও নিষিদ্ধ করা হয়নি, তথাপি তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান সুযোগ সুবিধা যে দেওয়া হবে না তা প্রায় নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। যেহেতু সরকারি মদতে ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টির মিছিল সমাবেশে ও গণসংযোগে বাধা দান ও সহিংসতা করা হচ্ছে।  ফলে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না এ নির্বাচন।
 
তা ছাড়া জামাত ই ইসলামির পক্ষে নির্বাচনের আগেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনের সঙ্গে জড়িত পদ সমূহের ব্যাপকভাবে দলীয়করণ চলছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জামাত ই ইসলামি প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে বিভিন্নভাবে যা আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া, পেশিক্তিতেও জামাত ই ইসলামির শিবির অনেক সুসংহত। আর যদি তাদের সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি ছিল, কথাটি সত্য বলে ধরে নেওয়া যায় সে ক্ষেত্রে, নির্বাচনের মাঠে এ শক্তি ব্যবহৃত হবে স্বাভাবিকভাবে। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়, এ সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ইচ্ছুক নয়। তাদের সক্ষমতাও প্রশ্নবিদ্ধ।  

উপসংহার

দেশ ধ্বংসের পথে অগ্রসরমান। এ থেকে উত্তোরনের একমাত্র পথ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনই হতে পারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রথম পদক্ষেপ। সে কারণে, এই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও তার অধীনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল দলের অংশগ্রহনে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনই একমাত্র সমাধান।

Disclaimer: এই প্রতিবেদন পুরোটাই লেখকের ব্যক্তিগত মতামত। bangla.aajtak.in এর দায় নিচ্ছে না। 

POST A COMMENT
Advertisement