সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। একটা প্রহসন। কথাটা শুনলাম বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি থেকে, গোবিন্দ প্রামাণিক সহ বৌদ্ধ ভিক্ষু ও হেফাজতের প্রধান থেকে। কথাটা যে সর্বৈব মিথ্যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতীয় গণমাধ্যম কিছু কিছু খবর প্রচার করে এই প্রথম বারের মত বিশ্বকে জানিয়েছে। এখন সভ্য দেশের মানুষেরা বিশেষ করে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার সংসদ সদস্যরাও হিন্দু নির্যাতনের বিরূদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আজ এখানে ভোট। ভোট বলতেই আমরা ভারতীয়রা যে ছবি দেখতে সাধারণত অভ্যস্ত, সেই ছবি কিন্তু আমেরিকায় নেই। আর চার-পাঁচটা কাজের দিনের মতোই আজেকরও দিনটা। অফিস খোলা। সকলেই নিজের কাজে ব্যস্ত। ভোট বলে যে ছুটির মেজাজ, তা কিন্তু নয়। অফিসের ফাঁকে সকলেই এখানে ব্রেক নিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। ভারতে ভোটে যেমন নিরাপত্তার ছবি দেখতে আমরা অভ্যস্ত, এখানে কিন্তু সেই অর্থে তেমন নিরাপত্তার বালাই নেই। সবটাই শান্তিুপূর্ণ ভাবে চলে। তবে যেসব প্রদেশে বেশি টক্কর, সেখানে নিরাপত্তাবলয় একটু থাকে হয়তো। আমাদের নিউ জার্সিতে তেমন ছবি নেই। আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক।
'হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছবিও প্রথম দেখি শারদ অর্ঘ্যে। তখনও তাঁর গাওয়া কোনও গানই শুনিনি। যখন শুনলাম, স্তব্ধ হয়ে শুনেছি। সেই মুগ্ধতা আজও কাটেনি। পরে তাঁর গান সামনে বসে শুনেছি। একটা স্মৃতি না বলে পারছি না...'
বস্তারের দশেরার সাথে রাম বা রাবণ কোনোভাবেই জড়িত নন। এই উৎসবটিতে জনজাতির মানুষেরা তাদের দেবী দন্তেশ্বরীর পুজো করেন। একই সঙ্গে এই উৎসবটি এখানকার আদিবাসিদের আদি দেবী, দেবী মাবলি ও তার বোনেদের একটি মন্ডলী হিসেবে পালিত হয়।
টানা চার ম্যাচ হারের পরেও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচের চাকরি যায়নি কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat)। লাল-হলুদের ইতিহাসে যা বিরল। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ব্যর্থতার পর আইএসএল-এও টানা দুই ম্যাচ হার। মাঝে এএফসি কাপে আল্টিন আসারের বিরুদ্ধে পরাজয়। সব মিলিয়ে 'প্রফেসর' কুয়াদ্রাত যে বিরাট চাপে তা আর বোলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু তাই নয়, তাঁর দল গঠন, রণকৌশল নিয়েও প্রশ্ন উঠে এসেছে। কোন কোন জায়গায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে?
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আন্দোলনের ঝাঁজ কমার কোনও লক্ষ্মণই দেখা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মনে তীব্র অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। যার জেরে অস্বস্তি বাড়ছে বাংলার শাসক শিবিরে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দুঁদে রাজনীতিক। হারা ম্যাচ জেতানোর কৌশল তাঁর রপ্ত করা। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে উদ্যোগ নেওয়া এবং তারপরে বৈঠকের জন্য ২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করা এবং শেষমেশ পদত্যাগের প্রস্তাব যেভাবে দিলেন মমতা, তা একপ্রকার কৌশলই বটে।
Muhammad Yunus: সোমবার রাতে বাংলাদেশে আন্দোলনকারী ছাত্রদের মূল সংগঠন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের তরফে যখন ভিডিও বার্তায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মহম্মদ ইউনুসের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তখন অনেকেই এর পিছনে আমেরিকার হাত দেখতে পেয়েছেন।
১৯৯৯ সাল থেকে একবারের জন্যও হারেননি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে হারতে হয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। আর এই একবার পরাজয়ের কারণে মূল্য চোকাতে হচ্ছে তাঁকে।
বাংলাদেশে জামাত যে ‘জ্বালানো পোড়ানো’ নীতি নিয়েই চলবে, সেটা নতুন কথা নয়। কিন্তু জামাতকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন রাখতে গেলে এবং সামাজিকভাবে রুখতে গেলে অন্য রাজনৈতিক বিরোধীদের যে জায়গা ছাড়তে হবে, এটা আওয়ামী লীগ বুঝলে মঙ্গল।
সেই সূত্রেই লেখক প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, ট্যুইটারে করা আমার ‘বাম-কংগ্রেসি জালিয়াতি’র অভিযোগটি ভ্রান্ত। কিন্তু অভিযোগটি যে সম্পূর্ণরূপে ভুল নয় সেটা তিনি উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করেননি। তা না করার কারণ আমার বোধগম্য নয় কারণ সদিচ্ছা থাকলে সহজেই তা করতে পারতেন।
এই মুহূর্তে, যখন আমি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এই নিবন্ধটি লিখছি, তখনই কোচিং শহর কোটা থেকে এক কিশোরের মৃত্যুর খবর এসেছে। ওই ছাত্র আট দিন আগে তার কক্ষ থেকে নোট লিখে নিখোঁজ হয়। বাবা-মায়ের নিশ্চয়ই তাঁর মনের অনুভূতি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না, অন্যথায় তাঁরা তাকে থামিয়ে দিতেন।