দেশ রাজনীতি ছেলের হাতের লাড্ডু না। কিংবা যেমন খুশি তেমন সাজ বা নাচের রঙ্গমঞ্চও নয়। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দণ্ডমুণ্ডের একজন হয়ে মাথামুণ্ডহীন বচন ছাড়লে তার খেসারত হাতে হাতে যেমন দিতে হয়, তেমনি অনাগত কালেও কিছুটা জমা থাকে। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে দায়িত্বে থাকা বেকুব কোনো ব্যক্তির বচনের বা কর্মের ভোগান্তিটা যায় দেশের মানুষের উপর দিয়ে। বাংলাদেশ সেরকম একটি ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
যদি আমার ইসলামি খিলাফত শাসনের প্রচেষ্টা মন্তব্যকে অতিশয়োক্তি বলে মনে হয়, তাহলে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় হিজবুর তাহরিকের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টারে ছেয়ে যাওয়া বা আইএসের পতাকা নিয়ে মিছিলকে মনে করিয়ে দেব।
কথাতেই আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, সেই মত ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভে সাহি স্নানে ২৯ই জানুয়ারি মৌনি অমাবস্যায় যোগ দিতে মা, প্রিয় বন্ধু অভীক আর আমার প্রাণ প্রিয় মোহনবাগানকে সঙ্গে নিয়ে পথ শুরু করেছিলাম হাওড়া থেকে। এমন অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি।
কখনও ভাবিনি, এমন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা হবে কুম্ভমেলায় গিয়ে! এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে মনে পড়লে। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এক অপূর্ব ধর্মীয় আবহে গঙ্গায় স্নান করব, পুণ্য লাভ করব। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।
Bally Bridge: হঠাত্ বললেন, 'ট্রেনে যাওয়া যাবে তো?' আমি বললাম, না, ট্রেন তো সম্পূর্ণ বন্ধ এই লাইনে। বলার পরেই বুঝলাম, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে উনি আনমনা।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-কে এক কথায় বললে: 'একজন নিপাট ভদ্রলোক।' ১৯৯৩ সাল, অমৃতবাজার পত্রিকায় আমি তাঁকে প্রথম দেখেছিলাম। খবরের কাগজের মালিকরা কংগ্রেসী ঘরানার ছিলেন। আমি সেখানে ট্রেনি রিপোর্টার ছিলাম। এখনও মনে আছে, ডঃ সিং হাত ভাঁজ করে নিউজরুমের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। একটা প্রহসন। কথাটা শুনলাম বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি থেকে, গোবিন্দ প্রামাণিক সহ বৌদ্ধ ভিক্ষু ও হেফাজতের প্রধান থেকে। কথাটা যে সর্বৈব মিথ্যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতীয় গণমাধ্যম কিছু কিছু খবর প্রচার করে এই প্রথম বারের মত বিশ্বকে জানিয়েছে। এখন সভ্য দেশের মানুষেরা বিশেষ করে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার সংসদ সদস্যরাও হিন্দু নির্যাতনের বিরূদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আজ এখানে ভোট। ভোট বলতেই আমরা ভারতীয়রা যে ছবি দেখতে সাধারণত অভ্যস্ত, সেই ছবি কিন্তু আমেরিকায় নেই। আর চার-পাঁচটা কাজের দিনের মতোই আজেকরও দিনটা। অফিস খোলা। সকলেই নিজের কাজে ব্যস্ত। ভোট বলে যে ছুটির মেজাজ, তা কিন্তু নয়। অফিসের ফাঁকে সকলেই এখানে ব্রেক নিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। ভারতে ভোটে যেমন নিরাপত্তার ছবি দেখতে আমরা অভ্যস্ত, এখানে কিন্তু সেই অর্থে তেমন নিরাপত্তার বালাই নেই। সবটাই শান্তিুপূর্ণ ভাবে চলে। তবে যেসব প্রদেশে বেশি টক্কর, সেখানে নিরাপত্তাবলয় একটু থাকে হয়তো। আমাদের নিউ জার্সিতে তেমন ছবি নেই। আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক।
'হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ছবিও প্রথম দেখি শারদ অর্ঘ্যে। তখনও তাঁর গাওয়া কোনও গানই শুনিনি। যখন শুনলাম, স্তব্ধ হয়ে শুনেছি। সেই মুগ্ধতা আজও কাটেনি। পরে তাঁর গান সামনে বসে শুনেছি। একটা স্মৃতি না বলে পারছি না...'
বস্তারের দশেরার সাথে রাম বা রাবণ কোনোভাবেই জড়িত নন। এই উৎসবটিতে জনজাতির মানুষেরা তাদের দেবী দন্তেশ্বরীর পুজো করেন। একই সঙ্গে এই উৎসবটি এখানকার আদিবাসিদের আদি দেবী, দেবী মাবলি ও তার বোনেদের একটি মন্ডলী হিসেবে পালিত হয়।
টানা চার ম্যাচ হারের পরেও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচের চাকরি যায়নি কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat)। লাল-হলুদের ইতিহাসে যা বিরল। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ব্যর্থতার পর আইএসএল-এও টানা দুই ম্যাচ হার। মাঝে এএফসি কাপে আল্টিন আসারের বিরুদ্ধে পরাজয়। সব মিলিয়ে 'প্রফেসর' কুয়াদ্রাত যে বিরাট চাপে তা আর বোলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু তাই নয়, তাঁর দল গঠন, রণকৌশল নিয়েও প্রশ্ন উঠে এসেছে। কোন কোন জায়গায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে?