আগামী শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জোর কদমে প্রচারে ব্যস্ত সবপক্ষই। আর এর মাঝেই হুগলির আরামবাগের গৌড়হাটি ২ নম্বরের সিপিএম প্রার্থীরমৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ওই প্রার্থীর দেহ উদ্ধার হয়েছে রেললাইনের ধার থেকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পঞ্চায়েত ভোটে হুগলির আরামবাগ এলাকায় সিপিএম প্রার্থী হয়েছিলেন সুমিত্রা দাস।। তাঁর রক্তাক্ত দেহ মিলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে ট্রেন লাইনের পাশে। পরিবার সূত্রে খবর, কাকদ্বীপে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সুমিত্রা। এলাকার ১০-১২ জনকে নিয়ে কাকদ্বীপের একটি মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি। তার পরেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সুমিত্রার পরিবারের লোকজনের দাবি, সিপিএম প্রার্থীকে খুন করা হয়েছে। তবে তা রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
সুমিত্রা এবার আরামবাগের গৌরহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণবাটি ৮ নম্বর সংসদের সিপিএম প্রার্থী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু খুন নাকি দুর্ঘটনা তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে মৃত সিপিএম প্রার্থীর কয়েক জন ঘনিষ্ঠের দাবি, ব্যক্তিগত কারণে খুন হয়েছেন সুমিত্রা। প্রসঙ্গত, সুমিত্রা দাসের স্বামী উত্তম দাস তিন বছর আগে মারা যান। তিনি বিগত দিনে ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। একসময় কর্মাধ্যক্ষও হয়েছিলেন। সুমিত্রদেবীর যমজ দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। সুমিত্রার দাসের এক ঘনিষ্ঠের কথায়, তিনি যাঁদের সঙ্গে পুজো দিতে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এক যুবক সুমিত্রাকে বিয়ে করতে চাইতেন। তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হত। প্রস্তাবে রাজি হননি সুমিত্রা। সেখান থেকে এই মৃত্যুর ঘটনা কি তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তি।
এদিকে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সম্ভবত আপাতত বন্ধ হতে চলেছে ওই বুথের ভোট। যদিও এই বিষয়ে নির্বাচন দফতর সূত্রে এখনও কিছু জানা যায়নি।