বয়স যেন শুধু একটা সংখ্যা! জীবনের প্রকৃত পালাবদল অনেক সময় পঞ্চাশের পরেই শুরু হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট রাশির জাতকরা আছেন, যাঁরা পঞ্চাশের কোঠায় পৌঁছেই জীবনের বড় সাফল্যের মুখ দেখেন। আর এই পরিবর্তন হয় রাতারাতি, যেন ভাগ্য হঠাৎ করেই নতুন দরজা খুলে দেয়। জ্যোতিষ মতে, এই জাতকরা কর্মক্ষেত্রে বা ব্যবসায়ে দীর্ঘদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে যান। তবে বয়স চল্লিশ বা পঁচিশে নয়, তাঁদের জীবনে সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে পঞ্চাশ পার করেই। ভাগ্যের চাকা ঘুরতে সময় নেয়, কিন্তু একবার ঘুরলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় না।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মকর রাশি। শনি এই রাশির অধিপতি। শনি ধৈর্য ও পরিশ্রমের প্রতীক। ফলে মকর রাশির জাতকরা ছোটবেলা থেকে কঠিন পরিশ্রম করলেও, তার প্রকৃত ফল মেলে বয়স বাড়ার পর। অনেকেই পঞ্চাশে পৌঁছে হঠাৎ কোনও বড় দায়িত্ব পান বা অর্থ উপার্জনের নতুন পথ খুঁজে পান।
এরপর আসে কুম্ভ রাশি। কুম্ভ রাশির জাতকরা জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যান। কিন্তু বয়স পঞ্চাশ পার করলেই একের পর এক দরজা খুলে যেতে থাকে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সফলতা আনে এই বয়সে।
তালিকায় রয়েছে বৃশ্চিক রাশিও। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা অন্তর্মুখী হলেও, কঠিন পরিস্থিতিতে সহজে ভেঙে পড়েন না। পঞ্চাশে তাঁদের জীবনে আসে স্থায়ী উন্নতির সময়। অনেক সময় এই বয়সেই তাঁরা স্থায়ী সম্পত্তি কেনেন বা কোনও বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান।
তুলা রাশি-র জাতকরাও এই তালিকায় রয়েছেন। তাঁদের কেরিয়ার অনেক সময় দেরিতে গতি পায়। কিন্তু একবার উঠে গেলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। পঞ্চাশের পরেই তাঁরা জীবনের সবচেয়ে সেরা সময় কাটান।
জ্যোতিষ বলছে, জীবনের সেরা বছরটা যে কোন বয়সে আসবে, তা আগাম বলা যায় না। তবে এই রাশিগুলির জাতকদের ক্ষেত্রে পঞ্চাশের পর ভাগ্যের উলটপুরাণ ঘটে। তাই হাল ছেড়ে নয়, ধৈর্য ধরলে সাফল্য আসবেই।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।