প্রত্যেক বছর আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী তিথিতে দেবশয়নী একাদশী হয়ে থাকে। একে হরিশয়নী একাদশী, পদ্মা একাদশী ও আষাঢ়ি একাদশীও বলা হয়ে থাকে। দেবশয়নী একাদশীর অর্থ হল দেবতাদের শয়নের একাদশী। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এই বছর ২৯ জুন বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টে ১৮ মিনিট থেকে একাদশী তিথি শুরু হয়ে যাবে। যা ৩০ জুন শুক্রবার দুপির ২টো ৪২ মিনিটে শেষ হবে। এরকম পরিস্থিতিতে দেবশয়নী একাদশীর ব্রত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার রাখা হবে। এইদিনের ব্রত খুবই ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন থেকে ভগবান বিষ্ণু সৃষ্টির পরিচালনার কাজ ভগবান শিবের হাতে তুলে দিয়ে যোগ নিদ্রায় চলে যান। এরপর তিনি চার মাস যোগ নিদ্রায় থাকেন। এই কারণেই এই সময়ে কোনও শুভ কাজ করা হয় না। চতুর্মাসও এই দিন থেকে শুরু হয়। জেনে নিন এই দিনে তুলসি সংক্রান্ত কিছু উপায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায় এমন কিছু ভুল আছে যা এড়িয়ে চলা উচিত। এটি করতে ব্যর্থ হলে গুরুতর পরিণতি হতে পারে। দেবশয়নী একাদশীতে কী কী করবেন না আসুন জেনে নিন।
জল দেবেন না
হিন্দু ধর্মে প্রত্যেক বাড়িতে তুলসি গাছ থাকা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে তুলসি গাছে মা লক্ষ্মীর বাস। এর পাশাপাশি মা লক্ষ্মী নির্জলা ব্রত রাখেন। তাই দেবশয়নী একাদশীর দিন তুলসিতে জল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তুলসী গাছের পাতা ছিঁড়বেন না
তুলসীকে ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় মনে করা হয়। তাই মা লক্ষ্মীও তুলসীর পুজো করেন। বলা হয় একাদশীর দিন তুলসী পাতা ছেঁড়া এড়িয়ে চলা উচিত। যদি তুলসী পাতা ব্যবহার করতেই হয় তবে তার ডাল আগেই ভেঙ্গে রাখতে হবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
যদিও প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন, কিন্তু দেবশয়নী একাদশীর দিন তুলসীর চারপাশে কোনও ময়লা থাকা উচিত নয়। এছাড়া তুলসীর চারপাশে চপ্পল ও জুতো রাখাও এড়িয়ে চলতে হবে। এতে মা লক্ষ্মী রেগে যান।
নোংরা হাতে ছোঁবেন না
জ্যোতিষাচার্যের মতে, তুলসীকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। এই কারণে, দেবশয়নী একাদশীর দিন এঁটো বা নোংরা হাতে তুলসী স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। এতে ভগবান বিষ্ণু ক্রুদ্ধ হন।
কালো বস্ত্র পরবেন না
দেবশয়নী একাদশীর দিন তুলসীর বিশেষ পুজো করা হয়ে থাকে। এইজন্য এমন অনেক উপায় আছে, যা করতে হবে। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে কালো কাপড় পরিধান করে পুজো করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে করে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাসা বাঁধে।