নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমনো ও ঘুম থেকে ওঠা এক নিশ্চিত শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। দিনের বেলায় নানান ধরনের কাজ করার পরে রাত আসে যখন, তখন মানুষের চোখে একরাশ ঘুম আসে। সারাদিনের পরিশ্রমের স্বস্তির ঘুম কিন্তু সব থেকে চিন্তার বিষয় এটাই যে রাতে শোওয়ার পর হঠাৎ করে ঘুম ভাঙছে। বার বার যদি এটা ঘটে তাহলে এর পিছনে অবশ্যই কোনও কারণ রয়েছে। তবে বেশ কয়েকবার হঠাৎ হঠাৎ করে দুশ্চিন্তা ভাবনার জন্য রাত্রিবেলাতে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু শাস্ত্রমতে বারেবারে ঘুম ভাঙলে বেশ কিছু সঙ্কেত দিয়ে থাকে ৷ এই নিয়ে প্রতিদিনের জীবনে নানান রকমের সঙ্কেত দেখতে পাওয়া যায় ৷
প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা ঘুমের সময়ে জেগে ওঠেন। এর থেকে বাঁচতে বিশেষ কিছু উপায় জানানো হয়েছে। এর থেকে বাঁচার কিছু উপায় জানিয়েছেন জ্যোতিষীরা।
রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুম ভাঙে যদি
রাত ৯টা থেকে ১১ টার মধ্যে যদি ঘুম ভেঙে যায় তবে জ্যোতিষীরা মনে করছেন যে এর পিছনে রয়েছে মানসিক চাপ। এর থেকে বাঁচতে রাত্রিবেলায় শুতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি মন্ত্র জপ করে শুয়ে পড়তে হবে।
রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে ঘুম ভাঙে যদি
রাত ১১টা থেকে ১ টার মধ্যে যদি ঘুম ভেঙে যায় তবে মনে করা হয় যে নেতিবাচক চিন্তায় মন ভরে গিয়েছে। এর জন্য মন থেকে নেতিবাচক চিন্তা দূর করে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনার প্রতিপালন করতে হবে। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে হবে বই পড়তে হবে ৷ মনকে শান্তি দেওয়ার জন্য শুনতে হবে গান ৷
রাত ১২টা থেকে ২ টোর মধ্যে যদি ঘুম ভাঙে
রাত ১২ টা থেকে ২ টোর মধ্যে ঘুম ভাঙে সেক্ষেত্রে মনে করা হয় আশেপাশে কোনও অজানা শক্তি মজবুত থাকে। তাই লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করে সেটিকে অর্জন করার জন্য আগের থেকে আরও মনোনিবেশ করতে হবে।
রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে যদি ঘুম ভাঙে
যদি রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে ঘুম ভাঙে সেক্ষেত্রে সঙ্কেত দেয় অতিরিক্ত পরিমাণে রাগের ৷ এই কারণে যাতে রাগ নিয়ন্ত্রণে করতে পারা যায় সেজন্য শুতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা জল দিয়ে হাত-পা ধুয়ে জল খেয়ে নিতে হবে।
রাত ৩টের কাছাকাছি যদি ঘুম ভাঙে
রাত ৩টের কাছাকাছি ঘুম ভাঙলে কী কী হতে পারে? এর কারণ ব্রহ্মান্ডে কোনও দিব্যশক্তি জাগাতে চায় ৷ যা ইঙ্গিত দেয় ইষ্ট দেবতার পুজো করতে হয় ৷ এই সময়ে পরমাত্মার আরাধনা করলে বিশেষ লাভ হতে পারে ৷ এই সময়ে সমস্ত শক্তি একসঙ্গে মিলতে বা মিশতে চায় ৷
রাত ৩টে থেকে ভোর ৫টার মধ্যে যদি ঘুম ভাঙে
যদি ঘুম রাত ৩টে থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে ভাঙে সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হয় কোনও অজানা শক্তি দেখা করতে চায় ৷ সেই কারণেই ঈশ্বরের নাম জপ করতে হয় ৷