মঙ্গলবার বজরংবলীর পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিনে রামভক্ত হনুমানের পুজো করলে তাঁর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়, এমনটাই মনে করেন হন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এই দিনে বজরংবলীর পুজো করলে সমস্ত রোগ, শোক, সংকট, দুঃখ দূর হয়। বজরংবলীর বিভিন্ন মন্ত্র জপের মাধ্যমে জীবনের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলেই বিশ্বাস।
১৩ মে অর্থাৎ আজ থেকে বড় মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। হনুমান মন্দিরগুলিতে সাড়ম্বরে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসাদ বিতরণও করা হবে ভক্তদের।
বড় মঙ্গলবার ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে স্নান সেরে নিতে হয়। পরিষ্কার বস্ত্র পরতে হয়। মহিলারা পড়েন লাল বস্ত্র এবং পুরুষরা সাধারণত গেরুয়া। পুজোর স্থলে কিংবা মন্দিরে হনুমানজির মূর্তি বা ছবি রেখে লাল ফুল, লাল বস্ত্র, সিঁদুর, চামেলির তেল অর্পণ করতে হয়। পাঠ করা হয় হনুমান চালিশা। এরপর সুন্দরকাণ্ড পাঠ করে হনুমানজির আরতি করা হয়।
কবে কবে পড়েছে বড় মঙ্গল?
প্রথম বড় মঙ্গল: ১৩ মে
দ্বিতীয় বড় মঙ্গল: ২০ মে
তৃতীয় বড় মঙ্গল:২৭ মে
চতুর্থ বড় মঙ্গল: ৩ জুন
পঞ্চম বড় মঙ্গল: ১০ জুন
বড় মঙ্গলের নিয়ম
১) ধারদেনা করা উচিত নয়। এইদিন ধার দিলে সে টাকা ফেরত পাওয়া মুশকিল হয়।
২) উত্তর দিশায় যাত্রা অশুভ হয়। পশ্চিম দিশাতেও যাত্রা করা উচিত নয়। তাও যদি প্রয়োজনে সেদিকে যেতেই হয় তবে যাত্রার আগে গুড় খেয়ে নিন।
৩) মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া উচিত নয়। এমনটা না করলে হনুমানজি রাগ করেন। জীবনে নানা বাধা আসে।
বজরংবলীর মন্ত্র
১) যশ-কীর্তি লাভের জন্য
ওম নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় বিশ্বরূপায় অমিতবিক্রমায় প্রকট-পরাক্রমায় মহাবলায় সূর্যকোটিসমপ্রভায় রামদূতায় স্বাহা।
২) শত্রু জয় ও বশীকরণের মন্ত্র
ওম নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় সর্বশত্রুসংহরণায় সর্বরোগহরায় সর্ববশীকরণায় রামদূতায় স্বাহা।
৩) সর্বদুঃখ নিবারণার্থে হনুমান মন্ত্র
ওম নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় আধ্যাত্মিকাধিদৈবীকাধিভৌতিক তাপত্রয় নিবারণায় রামদূতায় স্বাহা।
৪) ধন-ধান্য ইত্যাদি সম্পদপ্রাপ্তির জন্য হনুমান মন্ত্র
ওম নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় ভক্তজনমনঃ কল্পনাকল্পদ্রুমায়ং দুষ্টমনোরথস্তংভনায় প্রভংজনপ্রাণপ্রিয়াম মহাবলপরাক্রমায় মহাবিপত্তিনিবারণায় পুত্রপৌত্রধনধান্যাদিবিধিসম্পত্প্রদায় রামদূতায় স্বাহা।
৫) ভূত-প্রেত বাধা নিবরণার্থে হনুমান মন্ত্র
ওম নমো হনুমতে রুদ্রাবতারায় দেবদানবযক্ষরাক্ষস ভূতপ্রেত পিশাচডাকিনীশাকিনীদুষ্টগ্রহবন্ধনায় রামদূতায় স্বাহা।