এই চার রাশির জাতকদের নতুন বছরে প্রোমোশন, ব্যবসায় মুনাফা ও সম্মান বৃদ্ধির যোগ তৈরি হতে পারে।Jupiter Transit 2026: নতুন বছর ২০২৬ এর শুরুতেই গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানে বড়সড় পরিবর্তন। বৈদিক জ্যোতিষ অনুযায়ী, দেবগুরু বৃহস্পতি নতুন বছরে ৪ রাশির উপর বিশেষভাবে কৃপা করতে চলেছেন। বৃহস্পতি গ্রহকে জ্ঞান, ভাগ্য, অর্থ ও উন্নতির কারক বলা হয়। ফলে তাঁর শুভ দৃষ্টিতে কর্মজীবন, ব্যবসা ও আর্থিক ক্ষেত্রে বড় সুযোগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। জ্যোতিষ বিশ্লেষণ বলছে, এই চার রাশির জাতকদের নতুন বছরে প্রোমোশন, ব্যবসায় মুনাফা ও সম্মান বৃদ্ধির যোগ তৈরি হতে পারে।
মেষ রাশি
বৃহস্পতির অনুকূল প্রভাবে প্রথমেই যাঁদের নাম উঠে আসছে, তাঁরা হলেন মেষ রাশির জাতকরা। নতুন বছরে কর্মক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রমের স্বীকৃতি মিলতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা প্রোমোশনের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য সুখবর আসতে পারে। চাকরিজীবীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের জন্যও সময় অনুকূল। নতুন চুক্তি বা বড় প্রজেক্ট হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর্থিক দিক থেকে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশি নতুন বছরে বৃহস্পতির বিশেষ কৃপা পেতে চলেছে। জ্যোতিষ মতে, এই সময় সিংহ রাশির জাতকদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ বাড়বে। অফিসে উচ্চপদস্থ কর্তাদের নজরে আসতে পারেন। সরকারি চাকরি বা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যুক্তদের জন্য সময় অত্যন্ত শুভ। ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। সম্মান ও সামাজিক প্রতিপত্তি বাড়বে।
ধনু রাশি
তৃতীয় যে রাশির কথা বলছেন জ্যোতিষীরা, তা হল ধনু রাশি। বৃহস্পতি নিজেই এই রাশির অধিপতি হওয়ায় নতুন বছরে ধনু রাশির জাতকদের ভাগ্য বিশেষভাবে সহায় হবে। চাকরির পরিবর্তন, বিদেশযোগ বা উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হতে পারে। ব্যবসায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাগম বাড়বে এবং পুরনো আটকে থাকা টাকা ফেরত পাওয়ার যোগও দেখা যাচ্ছে।
নতুন বছরে মীন রাশির জাতকদের জন্যও সময় অত্যন্ত শুভ। বৃহস্পতির দৃষ্টিতে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির পথ খুলতে পারে। সৃজনশীল কাজ, শিক্ষা, পরামর্শমূলক পেশায় যুক্তদের সাফল্য আসবে। ব্যবসায় নতুন অংশীদার বা নতুন বাজারে প্রবেশের সুযোগ মিলতে পারে। আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি মানসিক শান্তিও বাড়বে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, নতুন বছরে বৃহস্পতির কৃপায় এই চার রাশির জীবনে উন্নতির যোগ প্রবল। তবে জ্যোতিষীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শুধু ভাগ্যের উপর ভরসা না করে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি।
দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি কোনও সম্পাদকীয় পরামর্শ নয়।