বুধবার, ৩১ মে নির্জলা একাদশী পালন করা হবে। বিধি-বিধানের সঙ্গে এই ব্রত করলে সব মনোস্কামনা পূরণ হবে। আর এই নির্জলা একাদশী এমন এক একাদশী যা বছরভর সব একাদশীর ফল একবারে দেয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রত্যেক বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষে নির্জলা একাদশীর ব্রত পালন করা হয়। একে ভীমসেনী একাদশী বা ভীম একাদশীও বলা হয়ে থাকে। এই বছর নির্জলা একাদশীর ব্রত ৩১ মে ২০২৩ সালে পালন করা হবে।
নির্জলা একাদশী কঠিন ব্রতগুলির মধ্যে একটি। প্রত্যেক মাসে দুটি করে একাদশী (শুক্ল পক্ষ ও কৃষ্ণ পক্ষ) তিথি পড়ে। কিন্তু সমস্ত একাদশীর মধ্যে মাঘ শুক্লার নির্জলা একাদশীর উপবাসকে কঠিন বলে মনে করা হয়। কারণ এই ব্রতে পুরো দিন অন্ন ও জল ত্যাগ করতে হয়। তবে এই ব্রতের মহিমাও অপরিসীম। বিশ্বাস করা হয় যে নির্জলা একাদশী উপবাস পালন করলে বছরে ২৪টি একাদশী উপবাসের মতোই ফল পাওয়া যায় এবং ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় সমস্ত মনোবাঞ্ছাও পূরণ হয়।
নির্জলা একাদশী ব্রততে কী জল পান করা যায়
নির্জলা একাদশীর ব্রত খুবই কঠিন হয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন জ্যৈষ্ঠ মাসে তীব্র গরম পড়ে ঠিক সেই সময়ই নির্জলা একাদশী ব্রত রাখা হয়, যা জীবনে জলের মাহাত্ম্যকে বোঝায়। কিন্তু যদি আপনি নির্জলা একাদশীর ব্রত রেখে থাকেন এবং ব্রত চলাকালীনই আপনার তেষ্টা পেয়ে থাকে, আর এমন পরিস্থিতি চলে এল যে জল ছাড়া আপনার প্রাণ সঙ্কটে চলে এসেছে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে আপনি শাস্ত্রে কিছু উপায় বলা হয়েছে। যেটার প্রয়োগে আপনার তেষ্টাও মিটবে এবং কোনও দোষও লাগবে না। এই উপায়ে জল গ্রহণ করলে আপনার ব্রতও নিষ্ফল হবে না।
এই বিধিতে নির্জলা একাদশীতে জল খেতে পারেন
-নির্জলা একাদশীর উপবাসের সময়, আপনি যদি অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত বোধ করেন, তবে আপনি 'ওম নমো নারায়ণায়' মন্ত্রটি ১২ বার জপ করা উচিত।
-এরপরে, জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে রূপো, পিতল বা মাটির ধাতুর তৈরি পাত্রটি পূরণ করুন। এরপর হাঁটু ও হাত মাটিতে রেখে যেভাবে প্রাণীরা জল পান করে সেভাবে খেতে পারেন। এটা করলে ব্রত অকার্যকর হবে না।
-এইভাবে জল খেয়ে পর পুনরায় উপবাস পালন করুন এবং পরের দিন অর্থাৎ দ্বাদশী তিথিতে একাদশীর উপবাস ভাঙুন।
-নির্জলা একাদশীর উপবাসে গলা শুকিয়ে গেলে জলের ছিঁটে মুখে দিন।
-এছাড়াও আপনি কুলকুচি করে জল বের করতে পারেন। এতে করে জল গলা দিয়ে নামবে না এবং ব্রতও নষ্ট হবে না।