হিরে শুক্রের রত্ন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, হিরের শুভ ফল কোনও ব্যক্তিকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ঐশ্বর্য্য এতে দিতে পারে। তবে এটা মাথায় রাখবেন, হিরে কিন্তু সবার জন্য শুভ নয়। তাই হিরে পরার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই জেনে নিন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে হিরের গুরুত্ব
নবরত্নের মধ্যে হিরেকে সবচেয়ে মূল্যবান এবং কঠিন বলে মনে করা হয়।
হিরে শুক্রের রত্ন হিসাবে বিবেচিত।
সাধারণত মানুষ এটির সৌন্দর্যের কারণে এটি পরে থাকে।
হিরে পরলে সুখ, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি আসে।
বিবাহিত জীবন এবং রক্তে হিরার সরাসরি প্রভাব রয়েছে।
শুক্রের সদ্ব্যবহার এবং গৌরব বৃদ্ধির জন্য এই রত্ন অত্যন্ত ভাল।
তবে সঠিক পরামর্শ ছাড়া হিরে পরা জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
হিরা ব্যবহারের যেগুলি মাথায় রাখবেন...
হিরে শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না। এটি জীবনকে বিপদেও ফেলতে পারে। হিরা যদি কোনও ব্যক্তির রাশির বিপরীত হয়, তাহলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই এটি পরতে হলে কিছু টিপস মনে রাখুন-
জ্যোতিষ পরামর্শ ছাড়া শুধুমাত্র ফ্যাশন বা স্টাইলের জন্য হিরে পরবেন না।
ডায়াবেটিস বা রক্তজনিত সমস্যা থাকলেও হিরে পরবেন না।
২১ বছর বয়সের পরে এবং ৫০ বছর বয়সের মধ্যে হিরে পরা ভাল।
তবে হিরে স্যুট না করলে দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ সমস্যা বাড়তে পারে।
হীরা যত সাদা, তত ভাল।
দাগ ধরা বা ভাঙা হিরে ব্যর্থতা কিংবা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
হিরার সঙ্গে প্রবাল বা গোমেদ পরবেন না। তেমনটা হলে চরিত্র কলঙ্কিত হয়।
কোন আঙুলে পরবেন?
বুড়ো আঙুলে বা তর্জনীতে হিরে পরলে শুক্র সর্বতভাবে উপকারী হয়ে ওঠে।
অনামিকা আঙুলে হিরে পরা প্রেম এবং সম্পর্কের জন্য ভাল।
কাজের জন্য হিরে পরা শুভ?
হিরে এমন একটি রত্ন যা সুখ, সমৃদ্ধি এবং সম্পদ দেয়। তবে এটি পরা সবার জন্য শুভ নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে-
মেষ, সিংহ, বৃশ্চিক, ধনু এবং মীন রাশির মানুষদের জন্য হিরে শুভ নয়। আবার বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা, মকর এবং কুম্ভ রাশির মানুষদের জন্য হিরে অত্যন্ত শুভ। কর্কট রাশির মানুষেরা বিশেষ পরিস্থিতিতে হিরে পরতে পারেন। যাঁরা আধ্যাত্মিকতায় উন্নতি করতে চান, তাঁদের হিরে পরা উচিত নয়। গ্ল্যামার, ফিল্ম বা মিডিয়ার মানুষদেরর জন্য হিরে উপকারী হতে পারে।
আরও পড়ুন - ডায়াবেটিসে মহৌষধ এই আটার রুটি, জানুন কীভাবে বানাবেন?