এই বছর, দীপাবলিতে একটি বিশেষ যোগ তৈরি হতে চলেছে, যা প্রায় ১০০ বছর পর ঘটবে। এই যোগ তিনটি রাশির জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে। এই দীপাবলিতে, বৃহস্পতি তার উচ্চ রাশি কর্কট রাশিতে বিপরীতমুখী হবে, যার ফলে হংস মহাপুরুষ রাজযোগ তৈরি হবে। এই বিরল যোগটি ২০ অক্টোবর দীপাবলির ঠিক আগে ঘটবে। বৃহস্পতি যখন কর্কট রাশিতে প্রবেশ করে, তখন এটি একজন ব্যক্তির জীবনে সৌভাগ্য, জ্ঞান এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। এবার, কর্কট রাশিতে বৃহস্পতির বিপরীতমুখী অবস্থান এই প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। তুলা, কর্কট এবং বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য এই যোগ অত্যন্ত শুভ হবে। এই রাশির জাতকরা তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য, ক্যারিয়ার বৃদ্ধি এবং আর্থিক অগ্রগতির লক্ষণ দেখতে পাবেন।
তুলা রাশির জন্য, এই যোগ দশম ঘরে তৈরি হবে, যা কাজ এবং প্রতিপত্তির ঘর। এই ব্যক্তিরা তাদের চাকরিতে পদোন্নতি বা নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন। সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের কথার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীরা আর্থিক লাভের সম্মুখীন হবেন এবং স্থগিত চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে, সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে এবং প্রেম জীবন স্থিতিশীল হবে। বৈবাহিক সম্পর্কও ইতিবাচকতা অনুভব করবে।
কর্কট রাশিতে প্রভাবশালী যোগ
কর্কট রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য এই যোগ সবচেয়ে প্রভাবশালী হবে কারণ এটি তাদের ঊর্ধ্বতন ঘরে তৈরি হবে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিত্বকে উন্নত করবে। কঠোর পরিশ্রম ফল দেবে, সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং মুলতুবি থাকা কাজগুলি সম্পন্ন হবে। ব্যবসায়ীরা নতুন চুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে অবিবাহিত ব্যক্তিরা বিবাহের প্রস্তাব পেতে পারেন।
বৃশ্চিক রাশিতে নবম ঘরের যোগ
বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য, এই হংস মহাপুরুষ যোগ নবম ঘরে, ভাগ্য এবং ধর্মের ঘরে সক্রিয় থাকবে। এই সময়কালে ভাগ্য তাদের অনুকূল থাকবে। পণ্ডিত শত্রুঘ্ন ঝা ব্যাখ্যা করেছেন যে এই যোগের প্রভাবের কারণে ব্যক্তিদের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা শক্তিশালী হবে। ধর্মীয় কার্যকলাপে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘ ভ্রমণ সম্ভব হবে। দীর্ঘস্থায়ী কাজ সম্পন্ন হবে। নতুন ক্যারিয়ারের সুযোগ তৈরি হতে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। পারিবারিক জীবন আরও মধুর হয়ে উঠবে এবং আপনি আপনার পিতামাতার কাছ থেকে সহায়তা পাবেন।
১০০ বছর পর গঠিত হংস মহাপুরুষ রাজযোগ এই তিনটি রাশির জীবনে নতুন শক্তি এবং অগ্রগতি সঞ্চার করবে। এই সময়কালে, পুজো, দান এবং আপনার প্রবীণদের সম্মান করলে শুভ ফল বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।