মঙ্গলবার দিনটি সমর্পিত করা হয়েছে হনুমানজির পুজো ও ব্রতর জন্য। বিশ্বাস করা হয় যে মঙ্গলকারী হনুমানের পুজো মঙ্গলবার যদি করা হয় তাহলে জীবন থেকে সব কষ্ট নিমেষে দূর হয়ে যায়। আর বজরঙ্গবলী ভক্তের সব ইচ্ছাকে পূরণ করে। তবে হনুমানজির পুজো করার সময় কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করা খুবই দরকার। বলা হয়ে থাকে যে হনুমানজির পুজো কেবলমাত্র পুরুষরাই করতে পারে। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে যে হনুমানজি ব্রহ্মচারী। তবে মহিলারাও হনুমানজির পুজো করতে পারেন। তবে কিছু জিনিস মাথায় রেখে।
হনুমানজি সঙ্কটমোচন করেন
হিন্দু ধর্মে, ভগবান হনুমানকে এমন এক দেবতা, যিনি আজও পৃথিবীতে শারীরিকভাবে উপস্থিত আছেন। তিনি ভক্তদের কষ্ট নাশকারী দেবতা হিসাবে পরিচিত। তাই হনুমানজিকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানজিকে অষ্টসিদ্ধি এবং নয়টি ধনদাতা বলা হয়েছে। যে ভক্তরা হনুমানজির পুজো করেন তাঁরা হনুমানজির সঙ্গে ভগবান রাম, শিবজি এবং শনি দেবের আশীর্বাদ পান। কথিত আছে যে শনির সাড়েসাতি এবং ঢাইয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি হনুমানজির পুজো করেন তবে তাঁরা এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হনুমানজির পুজোর সময় মহিলারা এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
-হনুমানজির পুজোর সময় মহিলারা তাঁর মূর্তিকে যেন স্পর্শ না করেন।
-এর সঙ্গে মহিলারা এটাও মাথায় রাখুন যে তাঁরা যাতে হনুমানজির পা না ছুঁয়ে ফেলেন। কারণ হনুমানজি মহিলাদের সম্মান করেন আর মা সীতার মতোই মহিলারা সবাই হনুমানজির কাছে মায়ের সমান।
-মহিলাদের পঞ্চামৃত দিয়ে হনুমানজিকে স্নান করানোও উচিত নয়। এটা তার ব্রহ্মচারী হওয়াকে অপমান করে।
-আপনি যদি হনুমানের পুজো করেন তবে তাকে চোলা, বস্ত্র এবং যজ্ঞোপবীত দেবেন না। একজন পুরুষকে দিয়ে এই জিনিসগুলি অর্পণ করান।
-হনুমানজির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য মহিলাদের মাথা নত করা উচিত নয়। শুধু হাতজোড় করে আশীর্বাদ নিন।
-মহিলারা ভুলেও হনুমানজিকে সিঁদুর দেবেন না এবং বজরং বাণের পাঠও করবেন না।