মানুষের রাশি তার চরিত্রের উপর প্রভাবে ফেলে। এক এক রাশির মানুষ স্বভাব এক এক রকমের হয়ে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন রাশির ছেলেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য স্থির হয়ে যায় তাদের জন্ম সময়ে। সে সময় তাদের গ্রহের অবস্থার এবং লগ্ন অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য স্থির হয়ে যায়। পরবর্তীকালে তাতে কিছু পরিবর্তন হলেও, প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রকম থাকে। জেনে নিন কোন রাশির পুরুষদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হয়।
মেষ (Aries)
মেষ রাশির জাতকরা প্রচন্ড একরোখা হয়। নিজেদের সিদ্ধান্তে চলতে ভালোবাসে তারা। মেষ রাশির জাতকদের ঘিরে থাকে একটা প্রশ্ন প্রচ্ছন্ন বিপদের আভা। যেটা আবার অনেক নারীর কাছে বেশ আকর্ষণীয় মনে হয় । ‘আমি একজন খারাপ ছেলে’ এমন একটা ভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে এই রাশির জাতকরা। সাধারণভাবে নারীদের আকর্ষণ থাকে এই রাশির জাতকদের প্রতি। মেষ রাশি জাতকদের ধৈর্য থাকে কম। তবে ব্যক্তিগত হোক বা কর্ম জীবনে, যে কোন কঠিন কাজের চ্যালেঞ্জ অতি সহজে গ্রহণ করতে পারেন তারা। এরা প্রচন্ড একরোখা এবং জেদি হয়। যেটা মাথায় একবার ঢুকবে সেটা করেই ছাড়বে।
বৃষ (Taurus)
প্রথম দেখায় বৃষ রাশির জাতককে মনে হবে খুব শান্তশিষ্ট মিষ্টি প্রকৃতির। সাধারণত তিনি আপনার সঙ্গে এমন মিষ্টি আচরণই করবেন। কিন্তু রেগে গেলে তার আসল রূপ দেখতে পাবেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বৃষ রাশির জাতকরা প্রচন্ড কর্মঠ এবং পরিশ্রমী হয়। তবে এরা কোন ঝুট-ঝামেলা পছন্দ করে না। বৃষ রাশির জাতক সাধারণত কোন ঝামেলা ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করতে পছন্দ করে। বৃষ রাশির জাতকরা প্রচন্ড শৃঙ্খলা পরায়ন হয়। রুটিন মাফিক কাজ করতে এরা সব সময় পছন্দ করেন। এই রাশির জাতকদের আত্মবিশ্বাস থাকে প্রবল। অন্যরা যাই বলুক না কেন, নিজের কথাই শেষ কথা, এমনটাই চিন্তা ভাবনা করেন এরা। এরা বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ হন। তবে নতুন থেকে পুরনো ধ্যান-ধারণা এদের বেশি পছন্দ। বৃষ রাশির জাতকদের জীবন সাজানো-গোছানো স্বভাবের হয়।
মিথুন (Gemini)
মিথুন রাশির জাতকরা অনেকটাই বহুরূপী প্রকৃতির। সামাজিক যে কোন সমস্যার সমাধানে এরা পারদর্শী থাকেন। অসাধারণ এবং যুক্তি দ্বারা কথার জাল বুনিয়ে অন্য যে কাউকে তাক লাগাতে এরা দক্ষ । এই কারণে খুব দ্রুত অপর একজন ব্যক্তিকে নিজের কথা ভালোভাবে বোঝাতে পারেন। মিথুন রাশির জাতকদের ব্যক্তিত্ব অস্থিতিশীল মনে হতে হতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে হতে পারেন। মিথুন রাশির জাতকরা হয় বন্ধু প্রিয়। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করেন। সঙ্গী সাথী নিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। এদের মানসিকতা হয় সহজ ও সরল। তবে মিথুন রাশির জাতকরা সবসময় পরিবর্তনশীল মানসিকতার জাতক হলেও এদের মানসিকতা থাকে খুবই উঁচুদরের। মিথুন রাশির জাতকরা সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এদের চিন্তা গতিশীল এবং পরিবর্তনশীল। যার কারণে সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে সমস্যা হয়। মিথুন রাশির জাতকদের পরিবর্তনশীল মেজাজ থাকে। এই হয়ত ঠাণ্ডা, আবার পরক্ষণেই গরম।
কর্কট (Cancer)
কর্কট রাশির জাতকের চরিত্রে তাদের চাঁদের প্রভাব প্রবল। কর্কট রাশির জাতকদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা খুব সহজে অপরের মনের কথা এবং মনের ভাব বুঝতে পারে। কর্কট রাশির জাতকরা নিজের মনের কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। কষ্ট পেলে নিজেকে অন্যদের থেকে সরিয়ে নেন। কর্কট রাশির জাতকরা পরিবারের প্রতি খুবই অনুগত। পরিবারের সকলের প্রতি লক্ষ্য থাকে। এই রাশির জাতক সাধারণত লাজুক এবং রহস্যময় হয়ে থাকে। নিজের মনের ভাব লুকিয়ে রাখার কারণে সহজে এই রাশির জাতকদের কেউ বুঝে উঠতে পারে না। কর্কট রাশির জাতকরা নিজে থেকে অপরের কাছে যায় না। তবে অন্য লোক যদি কর্কট রাশির জাতকের কাছে আসে, তখন কর্কট রাশির জাতক নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তখন এদের অন্য মানুষ রূপে দেখা যায়। এই রাশির জাতকরা খুবই নম্র স্বভাবের হয়। এই রাশির জাতকদের বিশেষত্ব হল এদের জোর করে কিছু করানো যায় না। এদের চরিত্র চাঁদের দ্বারা প্রভাবিত। অনেক রকম অনুভূতি দেখা যায় এই রাশির জাতকদের মধ্যে।
সিংহ (Leo)
সিংহ রাশির জাতকের মাঝে সিংহের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। তারা সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন সবসময়। সিংহ রাশির জাতকদের ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয়। এই রাশির জাতকরা নিজেদের জগতে থাকতে ভালোবাসেন। তবে এই রাশির জাতকরা একটু ভালোবাসার কাঙাল। কারো কাছ থেকে ভালোবাসা পেলে এরা সেটা কখনোই ভোলে না। সিংহ রাশির জাতকের ব্যক্তিত্বে সকলে আকৃষ্ট হয়। নিজেদের অপরের কাছে জাহির করতে পছন্দ করেন সিংহ রাশির জাতকরা। সিংহ রাশির জাতকদের ঘিরে থাকে একটা শক্তিশালী শুভ আভা। সিংহ রাশির জাতকদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পছন্দ করেন এই রাশির জাতকরা। বন্ধু মহলে বেশ জনপ্রিয় হয় এই রাশির জাতকরা। অন্যদের পরামর্শ শুনলেও সেটা না শুনে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসেন। অনেকের মধ্যে নিজেকে সকলের মনোযোগ এর মধ্যমনি করতে এবং সকলের কাছ থেকে গুরুত্ব পেতে ভালোবাসে সিংহ রাশির জাতকরা।
কন্যা (Virgo)
কন্যা রাশির জাতক হবে একেবারেই নারীসুলভ এবং চুপচাপ দুর্বল প্রকৃতির – এটা ভাবলে ভুল করবেন। কন্যা রাশির জাতক মাঝে মাঝে নিজেদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তার কাজের মধ্যে দিয়ে আবার সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। খুটিনাটি বিষয়গুলিতেও তার পূর্ণ মনোযোগ থাকে। অন্যকে সাহায্য করতে এক্কেবারে সিদ্ধহস্ত হন এই রাশির জাতক। কন্যা রাশির পুরুষ হয়ে থাকেন ন্যায় পরায়ন, ভদ্র এবং নিষ্পাপ। এই সমস্ত দুর্লভ গুণ থাকলেও কন্যা রাশির জাতক হয়ে থাকেন একটু ছটফটে। তবে সময়ের কাজ সময়ে করতে ভালোবাসেন। মাঝে মাঝে নিজের আত্মবিশ্বাস একেবারে হারিয়ে ফেলেন। তিনি কিন্তু তার কাজের মধ্যে দিয়ে আবার সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। নতুন করে যে কোনও কাজ নিখুঁত করে করতেও তার তুলনা নেই। নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে তারা জীবনকে জটিল করে ফেলেন অনেক সময়। এরা আসলে খুবই পরিশ্রমী হয়ে থাকে ।
তুলা (Libra)
তুলা রাশির জাতক সৌন্দর্য ও ভারসাম্যের প্রতীক। এই রাশির জাতকদের মধ্যে দাঁড়িপাল্লার মত ভারসাম্য রাখার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। তুলা রাশির জাতকদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। তুলা রাশির পুরুষ হয়ে থাকেন শান্তিপ্রিয় এবং সবার মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টা করেন। সব দিক চিন্তা করার কারণে তিনি দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু যখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তবে সেটা হয় উত্তম। যে কোন পরামর্শের জন্য তুলা রাশির বন্ধুটির সাহায্য নিতে পারেন আপনি। এরা বিচার করার সময় কোন রকমের পক্ষপাতিত্ব দেখায় না। সুন্দর কোনো বস্তু, কি নতুন গাড়ি বা নতুন মডেলের ফোন–এ সবই তার পছন্দ। সুন্দর মানুষও তিনি খুবই ভালোবাসেন। আরো ভালবাসেন সাহিত্য। এই তুলা রাশির পুরুষরা নিজের জন্য নয়, অন্য সবার জন্য সবসময় চিন্তা করে থাকেন। তুলা রাশির পুরুষ সবাইকেই খুশি রাখতে চান।
বৃশ্চিক (Scorpio)
প্রকৃতির সাথে একই সুরে বাঁধা থাকে বৃশ্চিক রাশির জাতকদের মেজাজ। এই কারণে কখনো বৃশ্চিক রাশির জাতকদের হাল্কা ভাবে নিতে নেই। বৃশ্চিক রাশির জাতকদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এরা অপরের কাছ থেকে সোজাসাপ্টা আচরণ পছন্দ করেন। এরা আত্মবিশ্বাসী এবং শক্তিশালী হয়। যে কোন পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দ করে। বৃশ্চিক রাশির পুরুষ একা একা থাকতে পছন্দ করেন। তিনি নিজের ভাগ্য নিজে করে নেওয়ায় বিশ্বাসী। নিজের জীবনের ব্যাপারে অন্য কাউকে জানাতে পছন্দ করেন না। তিনি পছন্দ করেন প্রাইভেসি। খুব দ্রুত তার কাছের মানুষের হয়ে যাবার আশা বা চেষ্টা কোনটাই করবেন না। এই কারণে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়, বৃশ্চিক রাশির জাতকের মন বুঝতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতে হবে। নিজের নিয়মে একবার হেরে গেলেও তিনি চেষ্টা করে যান বারবার। স্বাধীনচেতা, নির্ভীক, কঠোর পরিশ্রমী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষ হওয়ায় সহজেই জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন। বৃশ্চিক রাশির জাতক এমন এক পুরুষ, যাকে পোষ মানানো যায় না। তারা কষ্ট পেলে তার স্মৃতি মনে রাখেন বহুদিন। একটু সময় নিয়ে তাকে জানার চেষ্টা করলে, দেখতে পাবেন আপনার জীবনের সবচাইতে স্পর্শকাতর এবং জ্ঞানী মানুষটি সম্ভবত বৃশ্চিক রাশি। বৃশ্চিক রাশির পুরুষকে তুচ্ছ করে দেখবেন না । কখনো অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণত মাথা ঘামান না।
ধনু (Sagittarius)
ধনু রাশির জাতক যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে থাকতে পারেন। এরা খুবই আশাবাদী। নিরাশার বাণী তাদের গায়ে লাগে না একেবারেই। ধনু রাশির জাতকরা সর্বদাই ভ্রমণরত। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, এক মন থেকে আরেক মনে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা পথ ভোলা। সৌন্দর্য এবং জ্ঞানের অন্বেষণে তাদের এই ভ্রমণ। এ কারণে তাদেরকে সম্পর্কের শৃংখলে বেঁধে রাখতে গেলে তারা নিজেদের বন্দী মনে করেন এবং শৃংখল ভেঙে চলে যেতে চান। কিছুটা দার্শনিক মনোভাব এর জন্য সবকিছু চিন্তা করে গভীর ভাবে। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনতে খুবই পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। খুব বেশি দ্রুত খুব চিন্তা করতে পারেন না।
মকর (Capricorn)
মকর রাশির জাতকরা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না। তাদের কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো জীবনের শৃঙ্খলা। কোন ঝামেলায় থাকতে তারা পছন্দ করেন না। ঝামেলা থেকে তারা দূরে থাকতে পছন্দ করেন। মকর রাশির জাতকের জীবনে অনেক বাধা বিপত্তি আসে। কিন্তু যতই বাধা বিপত্তি আসুক না কেন, ধীর-স্থিরভাবে সেগুলো অতিক্রম করে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারেন মকর রাশির জাতক। এই কারণে তাকে দেখা যায় বদ্ধপরিকর এবং একই সঙ্গে প্রচন্ড পরিশ্রমী। মকর রাশির জাতকদের মধ্যে থাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার মনোভাব। এই মনোভাবের কারণে এই রাশির জাতকরা নিজেদের নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের শিখরে। তবে মকর রাশির জাতককে দেখে যতই শক্তিশালী এবং চুপচাপ মনে হোক না কেন, এই বাইরের রূপ দেখে ভুল করবেন না মোটেও। তাদের চিন্তাভাবনা চলে ঝড়ের গতিতে। অধ্যবসায় হলো তার সবচেয়ে বড় গুণ। জীবনের বেশিরভাগ সময়ে সাফল্য অর্জনের দিকে মন থাকে মকর রাশির পুরুষের। এই কারণে তার ব্যক্তিত্বে দেখা যায় প্রচণ্ড পরিপক্কতা।
কুম্ভ (Aquarius)
কুম্ভ রাশির জাতকরা চেনা থেকেও অচেনা থাকে। যদি চান কুম্ভ রাশির পুরুষকে কাছে পেতে তাহলে মনে রাখুন একেবারে কাছের মানুষ হয়ে ওঠা খুবই কঠিন এবং তা করতে পারলে নিজেকে একেবারে ভাগ্যবান মনে করে নেবেন। অথচ প্রথম দেখায় আন্তরিক মনে হবে কুম্ভ রাশির পুরুষকে। কিন্তু তাতে মনে করবেন না যে তিনি একেবারে নরম সরম। সামনে এক ভেতরে আর এক হয় কুম্ভ রাশির জাতকরা। কুম্ভ রাশির জাতকদের হাসিখুশি মুখের পেছনে কাজ করছে প্রখর বুদ্ধিমত্তা। নিজের পক্ষে যতটা সম্ভব পৃথিবীতে ততটাই ভালো কাজ করে রেখে যেতে চান এরা। তিনি আর সেটা করেনও সৃজনশীলতার মধ্যে দিয়ে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত বেশিরভাগ সময়ে কাছের বন্ধুরা ঠিক জানেন না কুম্ভ পুরুষ আসলে কেমন প্রকৃতির হয়? হয়তো তিনি নিজেও জানেন না তিনি কি? নিজের বুদ্ধি দিয়ে এবং সৃজনশীলতা থাকার কারণে অপরকে ভালো ভালো নতুন আইডিয়া দিতে পারে কুম্ভ রাশির জাতকরা।
মীন (Pisces)
মীন রাশির জাতকরা হয় সৃজনশীল। পরিচিত এবং অপরিচিত সকলের প্রতি দয়াশীল হয়। মীন রাশির জাতকদের বৈশিষ্ট্য হল , বাস্তবতা যখন খুব কঠিন হয়, তখন খুব সহজেই নিজেকে কল্পনার জগতে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া নিজের দুঃখকে বুকের আড়ালে রেখে অপরকে কখনো জানতে দিতে চান না এই রাশির জাতিকারা। শিল্প ও সাহিত্য এবং অন্যান্য মাধ্যমে সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে অন্য রাশির পুরুষ থেকে বেশি সফল হয়ে থাকেন মীন রাশির জাতক। পার্থিব জগতের প্রতি তাদের বেশি নজর থাকে না। মীন রাশির পুরুষের সাথে কথা বলার সময় আপনার মনে হতে পারে আপনি দুইজন আলাদা মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। অথবা এমন একজন আছে আপনার সামনে যার মন পড়ে আছে দুটি আলাদা জগতে। মুহূর্তে তিনি ঠান্ডা আবার মুহূর্তে তিনি বদমেজাজী হতে পারেন মীন রাশির জাতকরা। বাইরে থেকে তাকে শান্ত মনে হলেও ঠিক সেই মুহূর্তে হয়তো তার মাঝে চলছে ভিন্ন অনুভূতির খেলা।