
Mangal Gochar: জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গল এমন এক গ্রহ, যার গতিবিধি সাধারণ মানুষের জীবনেও শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। যুদ্ধ, শক্তি, সাহস, রাগ, এই সব কিছুরই প্রতীক মঙ্গল। প্রায় ৪৫ দিন অন্তর তার রাশি পরিবর্তন হয়, আর প্রতিটি পরিবর্তনই কিছু রাশির জাতকদের ওপর আলাদা প্রভাব ফেলে।
ডিসেম্বর ২০২৫-এর প্রথম সপ্তাহে মঙ্গল তার নিজ রাশি বৃশ্চিক ছেড়ে ধনু রাশিতে প্রবেশ করতে চলেছে। এই পরিবর্তনকে ঘিরে জ্যোতিষমহলে ইতিমধ্যেই নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। কার জীবনে বাড়বে চাপ, কার সংসারে আসতে পারে বিবাদ, আর কে হতে পারেন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি?
৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে মঙ্গল ধনু রাশিতে প্রবেশ করবে। আগুন-তত্ত্বের রাশি ধনুতে মঙ্গলের উপস্থিতি অনেক সময়েই মানসিক অস্থিরতা, রাগের প্রবণতা, আইনি ঝামেলা বা আর্থিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণ হয়। ফলে কিছু রাশি এই সময় বিশেষ সতর্ক না হলে সমস্যায় পড়তে পারেন।
মেষ রাশির জাতকদের জন্য সময়টা খুব সুবিধাজনক নয়। কোনও ছোটখাটো ক্ষতি বা টাকার লেনদেনে ভুল হওয়ার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে হঠাৎ কোনও খরচ বেড়ে গেলে আর্থিক চাপ তৈরি হতে পারে। কাজের জায়গায় অনিচ্ছায় এমন কিছু দায়িত্ব নিতে হতে পারে যা মানসিক চাপ বাড়াবে। শরীরেও দুর্বলতা বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা এই সময়ে কোনও অপ্রীতিকর খবর শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। অন্যের কথায় বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। যারা আইনি সমস্যায় জড়িত, তাঁদের মামলার জটিলতা আরও বাড়তে পারে। রাগ বা আবেগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে সম্পর্কেও দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জন্যও সময়টা খুব একটা সুখকর নয়। কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। ভুল বোঝাবুঝি বা উত্তেজনা থেকে থানা-পুলিশ পর্যন্ত পরিস্থিতি গড়াতে পারে। পরিকল্পনা মতো কাজ না হওয়া থেকে মনখারাপ বা হতাশা দেখা দিতে পারে। চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
ধনু রাশি
ধনু রাশির জাতকদের জন্য এই গোচর বিশেষভাবে চাপের। মঙ্গল নিজেরাই এই রাশিতে প্রবেশ করায় মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। এই সময় ভুল করেও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করা উচিত নয়, নাহলে ক্ষতি নিশ্চিত। পড়ুয়াদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাফল্য না আসায় মনখারাপ হতে পারে। চাকরিপ্রার্থীদের আরও অপেক্ষা করতে হতে পারে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র তৈরি হতে পারে।
কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য শারীরিক সমস্যাই বড় আশঙ্কা। হঠাৎ করে শরীর খারাপ হওয়া, কাজের চাপ সামলাতে না পারা বা অতিরিক্ত চিন্তার কারণে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। কোনও কাগজপত্র না পড়ে সই করা বিপজ্জনক হতে পারে। পরিচিত কেউ বিশ্বাস ভাঙতে পারেন। চাকরিতে টার্গেট বা দায়িত্ব পূরণ করতে গিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে। সন্তানের দিকে নজর বাড়ানো জরুরি।