প্রত্যেক ব্যক্তির জন্মছকে উপস্থিত গ্রহগুলি তাঁর জীবনে কোনও না কোনওভাবে প্রভাব ফেলে। অনেক সময় গ্রহগুলির শুভ অবস্থান কোনও ব্যক্তিকে জীবনে সফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেয়। আবার কখনও গ্রহগুলির অশুভ অবস্থান জীবনে বিবিধ সমস্যা নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে আর্থিক ক্ষেত্র, সর্বক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে। সংসারে অশান্তি, ঋণ বৃদ্ধির মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, রাহু, শনি এবং মঙ্গল এই তিন গ্রহের জন্যই মূলত জীবনে নেমে আসে সমস্যা ও অমঙ্গল।
রাহু (Rahu)
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে রাহুকে ছায়া গ্রহ হিসেবে ধরা হয়। মনে করা হয়, রাহু যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শুভ গ্রহের সঙ্গে বসে থাকে তবে শুভ ফল পাওয়া যায়। কিন্তু রাহু যদি অশুভ গ্রহের সঙ্গে থাকে তাহলে তার ফল হয় নেতিবাচক। রাহু অশুভ হলে ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এ ছাড়াও ক্রমাগত হতে থাকে আর্থিক অবনতি। তাই রাহুর দোষ কাটাতে বা অশুভ অবস্থা এড়াতে, নিয়মিত "ওম রা রহভে নমঃ" মন্ত্রটি জপ করুন।
শনি (Saturn)
জ্যোতিষশাস্ত্রে, শনিকে সবচেয়ে ধীরগতি গ্রহ হিসাবে ধরা হয়। এটি যে কোনও মানুষের জন্মছকে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। যাঁদের কুণ্ডলীতে শনি সাড়ে সাতি, ঢাইয়া ও মহাদশা চলে, তাঁদের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে কোনও ব্যক্তিকে চাকরি বা ব্যবসায় ক্ষতি, আর্থিক অবস্থার অবনতি, বিয়েতে বাধার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই শনিদেবের কুদৃষ্টি এড়াতে প্রতি শনিবার শনি মন্দিরে সর্ষের তেল নিবেদন করা উচিত। এছাড়াও, শনি দোষ কাটাতে ঘোড়ার নালের আংটি তৈরি করুন এবং মধ্যমা আঙুলে পরুন।
মঙ্গল (Mars)
জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গলকে গ্রহদের সেনাপতি বলা হয়। এটিকে সমস্ত গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে উগ্র হিসেবেও ধরা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, কোনও যদি ব্যক্তির কুণ্ডলীতে মঙ্গল অশুভ অবস্থানে থাকে, তাহলে তাঁর জীবনে অশান্তি নিয়ে আসে। মঙ্গল যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে ষষ্ঠ, অষ্টম এবং দশম অবস্থানে থাকে তাহলে তা অর্থহানির কারণ হয়ে ওঠে। ষষ্ঠ মঙ্গল থাকলে ঋণ বাড়ে। তাই মঙ্গলের অশুভ প্রভাব এড়াতে মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করা উচিত। এছাড়া প্রবালও ধারণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন - "মিমি, নুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে", বিস্ফোরক অভিযোগ মন্ত্রী শ্রীকান্তর