জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) রত্ন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী রত্ন মানুষের কুণ্ডলীতে উপস্থিত গ্রহের কার্যকারিতা বাড়াতে বা অশুভ প্রভাব কাটাতে সাহায্য করে। রত্ন মানুষের জীবনে গ্রহের দোষ কাটায় ও ইতিবাচকতা বাড়ায়। প্রতিটি রত্ন কোনও না কোনও গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই যে কোনও পাথর ধারণের আগে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত। রত্ন (Gemstones) ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচার করে দেখা উচিত রাশি, জন্ম তারিখ, গ্রহ নক্ষত্র তথা গোটা রাশিচক্র। অন্যথায় সেই রত্নের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই প্রতিবেদনে আমার আলোচনা করব মুক্তো নিয়ে।
রাশিচক্রে মুক্তোর উপকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, মেষ, কর্কট, বৃশ্চিক এবং মীন রাশির জাতকদের মুক্তো পরা উপকারী। আবার সিংহ, তুলা ও ধনু রাশির জাতক জাতিকারাও মুক্তো পরতে পারেন। সেক্ষেত্রে গ্রহের নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানের ভিত্তিতেই মুক্তো ধারণ করা উচিত। কারণ মুক্তো চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই মুক্তো পরলে মানসিক জোর বাড়ে (Pearl Effect On Body)। এছাড়া যাঁদের চন্দ্র দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রেও মুক্তো বিশেষভাবে কাজ করে।
মাথায় রাখুন মুক্তো অপকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বেশি আবেগপ্রবণ এবং রাগী ব্যক্তিদের রুপো বা মুক্তো রত্ন পরা উচিত নয় (Pearl Side Effects)। এতে তাঁদের আবেগ বা রাগ আরও বেড়ে যায়। এ ছাড়া যাঁদের রাশিচক্রে দ্বাদশ বা দশম স্থানে চন্দ্র রয়েছে তাঁদেরও মুক্তো পরা ঠিক নয়। এছাড়া মাথায় রাখবেন, মুক্তোর সঙ্গে কখনও হিরে, পান্না বা নীলা পরবেন না, আসতে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
মুক্তো ধারণের নিয়ম (How To Wear Pearl Stone)
মুক্তো সবসময় রুপোর আংটিতেই পরা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, শুক্লপক্ষের সোমবারে রাতে এটি শোধন করে কনিষ্ঠা আঙুলে ধারণ করতে হবে। এছাড়া পূর্ণিমা তিথিতেও মুক্তো ধারণ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে গঙ্গাজলে ধুয়ে নিয়ে তারপর ভগবান শিবকে নিবেদন করে পরতে হবে মুক্তো।
আরও পড়ুন - ডিসেম্বরে জন্ম? জেনে নিন নিজের ভাগ্য ও চরিত্রের গোপন কথা