হিন্দু ধর্মে শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা ও কর্মফলদাতা বলা হয়ে থাকে। মানা হয় যে শনিদেব প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাঁর কর্ম অনুযায়ী ফল প্রদান করে থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে যাঁরা ভালো কাজ করে থাকেন তাঁদের শুভ ও যাঁরা খারাপ কাজ করে থাকেন তাঁরা অশুভ ফল প্রদান করে থাকেন শনিদেব। শনিদেবের রোষকে শুধু মানুষরাই নয়, দেবতারাও ভয় পেয়ে থাকেন। সেইজন্য সব মানুষই চান যে তাঁর ওপর শনিদেবের কৃপা সবসময় থাকে। শনিবারের দিন শনিদেবকে সমর্পণ করা হয়ে থাকে। এইদিন শনিদেবের পুজোর সবচেয়ে ভালো সময় হল সুর্যোদয়ের আগে এবং সুর্যাস্তের পরে। ধার্মিক মান্যতা অনুসারে, যদি শনিবার বিধি-বিধান মেনে পুজো করা হয় এবং শনিদেবকে তাঁর প্রিয় ফুল অর্পণ করা হয় তবে তিনি প্রসন্ন থাকেন। আসুন জেনে নিই যে শনিদেব কোন ফুলে তুষ্ট হন।
জ্যোতিষ শাস্ত্রের মান্যতানুসারে, শনির ক্রুর দৃষ্টি, সাড়েসাতি ও মহাদশা-অন্তর্দশা ব্যক্তিকে বরবাদ করে দিতে পারে। এই কারণেই সকলেই চায় যে তাদের ওপর সবসময় শনিদেবের কৃপা সবসময় যেন থাকে। কিছু বিশেষ উপায়ে শনিদেবকে প্রসন্ন করা যেতে পারে। আসুন জেনে নিই।
শনিবার শনিদেবের কিছু প্রিয় বস্তু অর্পণ করলে শনির পীড়া থেকে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। বলা হয় যে শনিদেবের বিশেষ পছন্দের ফুল হল আকন্দ ফুল। তাই পুজোর সময় যদি এই আকন্দ ফুল অর্পণ করা হয় তাহলে শনিদেব খুবই প্রসন্ন হন এবং সেই ব্যক্তির ভাগ্য খুলে দেয়। তাই শনিদেবের পুজোয় এই আকন্দ ফুল অবশ্যই অর্পণ করুন। এছাড়াও শনির খুব প্রিয় ফুল হল নীল অপরাজিতা ফুল। এই ফুল দিয়ে পুজো করলেও শনিদেব খুব প্রসন্ন হন।
যদি কোনও শুভমুহূর্তে এই গাছ বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা যায়, তাহলে জীবনে অনেক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। দূর হয়ে যায় গৃহদোষ বা বাস্তুদোষ। কালাজাদু বা টোনা-টোটকার প্রভাব থেকেও মুক্তি মিলবে। তাই প্রতিদিন, না পারলে কেবলমাত্র সপ্তাহে শনিবার সাদা আকন্দ, না পারলে লাল আকন্দ দিয়েই গ্রহরাজের পুজো দিন। তার ফল মিলবে হাতেনাতে।