সনাতন ধর্মে এককালে বিয়ের আগে মেলানো হত হবু স্বামী-স্ত্রীর কোষ্ঠী। কোষ্ঠীর দোষগুণ মিলিয়ে বিয়ের পাকা কথা হয়। এখন সেই সবের পাঠ খুব একটা নেই। কারণ বিয়ের আগেই নারী-পুরুষ পরস্পরকে পছন্দ করে ফেলেন। কোষ্ঠী মেলানো আর হয়ে উঠে না। অথচ কোষ্ঠী মেলালে বোঝা যায় কোন রাশির সঙ্গে কোন রাশির খাপ খায়। রাশি অনুযায়ী বিয়ে হলে টেকসই হয় বলে লোকবিশ্বাস। তাঁদের মধ্যে মনের মিলও থাকে। কোন রাশির সঙ্গে কোন রাশির মিলতে পারে, চলুন দেখে নেওয়া যাক-
মেষ এবং কুম্ভ রাশি-জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মেষ এবং কুম্ভ দারুণ দম্পতি হতে পারে। এই জাতক-জাতিকাদের বিবাহিত জীবন সুখের হয়। পরস্পরের মধ্যে আজীবন থাকে প্রেম। তাঁরা দু'জনেই স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। তাঁদের মধ্যে মতের অমিল হয় না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তাঁরা সবরকম চেষ্টা করেন। সম্মান করেন পরস্পরের মতামতকেও।
সিংহ ও ধনু রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সিংহ এবং ধনু দারুণ দাম্পত্য সম্পর্ক তৈরি করেন। সিংহ ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকাদের বিবাহিত জীবন সুখে ভরপুর থাকে। সিংহ এবং ধনু জাতিক-জাতিকারা পরস্পরের মন বোঝেন। পরস্পরকে সম্মান করেন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ত্রুটি রাখে না। সঙ্গীর সুখের জন্য যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত থাকেন৷ তাঁরা উভয়েই পরিশ্রমী হন। এবং সৎ প্রকৃতির। সিংহ এবং ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা জীবনকে পরিপূর্ণভাবে বাঁচতে ভালোবাসে। সততার সঙ্গে জীবন কাটান।
বৃষ এবং কন্যা রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৃষ এবং কন্যারা সবচেয়ে সুন্দর দম্পতি হন। বৃষ এবং কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা প্রেমে ভাগ্যবান হন। তাঁরা দুজনেই সঙ্গীর পূর্ণ যত্ন নেন। বৃষ এবং কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা কোনও পরিস্থিতিতেই জীবনসঙ্গীর হাত ছাড়েন না। তাঁরা দুজনেই খুব সৎ হন। বিশ্বস্ত প্রকৃতির হন। পরস্পরকে ভরসা করেন। মনের কথা বোঝেন। পরস্পরকে সম্মানও করেন তাঁরা। মনের অমিল কখনও হয় না।
আরও পড়ুন- ৩০ বছর পর শনির অবস্থান বদল, ২০২৩ সালে তুঙ্গে কেরিয়ার-মালামাল এই ৩ রাশি