মহাসপ্তমীর পূন্য লগ্নে মালদার মহানন্দার ঘাটে ঘাটে চলছে কলা বউয়ের স্নান। রীতি মেনে আদি কংস বণিকের পূজোর কলা বউয়ের স্নান পর্ব চলছে।
পাশাপাশি মালদার মহানন্দার মিশন ঘাট, বাচামারি ঘাট, ফুলবাড়ি ঘাটেও চলছে কলা বউয়র স্নান। ফলে সকাল থেকে ঘাটে মানুষের ভিড়। সকলেই কলাবউ স্নান করানো দেখতে চান।
টোল পন্ডিতদের কথায়. মহা সপ্তমীর সূচনার দিন ভোরের ঠিক আগে একটি কলাগাছকে জলের মধ্যে নিমজ্জিত করে স্নান করানো হয়। সেভাবেই চলছে পুজো।
আনুষ্ঠানিক স্নানের পরে, গাছ বা কলা বউকে একটি শাড়িতে পরানো হয়। সাধারণত একটি লাল-সীমানাযুক্ত এবং গণেশের ডানদিকে স্থাপন করা হয়, যার দ্বারা বোঝা যায় যে কলা বউ।
আসলে গণেশের কনে। যদিও ঐতিহাসিকদের এই বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। কারণ কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে কলা বউ দুর্গার আরেকটি উপস্থাপনা। অতএব, তারা এই তত্ত্বকে খণ্ডন করে যে কলা বউ" গণেশের বধূ।
আরেকটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হল যে, কলা বউ হল নটি ধরনের উদ্ভিদের একটি প্রতীকী উপস্থাপনা। যা নব পত্রিকা নামে পরিচিত। পুরোহিতরা অনুষ্ঠান করার আগে বটগাছের কাণ্ডে আটটি গাছের গুচ্ছ বেঁধে রাখে।
নটি ভিন্ন পাতা একত্রে মিলিত হয়ে কলা বউ- প্রায়শই দুর্গার উদ্ভিদ রূপ হিসাবে বিবেচিত হয়। সেই নিয়ম মেনে মহা সপ্তমীর শুরুতে এই কলা বউ বা নব পত্রিকাকে নদীতে বা পুকুরে স্নন করিয়ে মন্ডপে প্রতিষ্ঠা করা হয়।