বইয়ের পাতা থেকে যেন কর্ভাস উঠে এল বাস্তবে। সত্যজিৎ রায়ের লেখা প্রফেসর শঙ্কুর গল্প কর্ভাসের সেই চালাক কাকের কথা মনে আছে, যে কা না বলে কে বলেছিল। তার বুদ্ধাঙ্ক ছিল অন্য মাত্রার।
সাম্প্রতিক গবেষণায় অসাধারণ তথ্য উঠে এল। বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে দেখেছেন শূন্য কী তা জানে কাক। গবেষণায় জানা গিয়েছে Concept Of Zero কী তা জানে কাক!
শূন্য-র ধারণা খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক বা তার কিছু আগে তৈরি হয়। কোনও রকম ট্রেনিং না থাকা সত্ত্বেও কাক এই ধারণা কী তা জানে। এমন তথ্যই উঠে এল গবেষণায়।
শূন্য সঙ্গে যা খুশি যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ করলে কী হতে পারে এই ধারণা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সাধারণ ভাবে দেখা মেলা কাক।
এর অন্যতম গবেষক অ্যানড্রেয়াস নাইডার এ বিষয়ে বলেন, 'যে কোনও গণিতজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করলে জবাব একই আসবে যে শূন্য আবিষ্কার গণিতে একটা আশ্চর্য ঘটনা। শূন্য বিষয়ে সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার এই যে একে কোনও রুটিনে ফেলা সম্ভব নয়। কোনও বাস্কেটে যদি তিনটে আপেল থাকে তবে আপনি তা গুণতে পারেন। তবে না থাকলে কেই বলেন না এখানে শূন্য আপেল রয়েছে। সকলেই বলবেন এটা খালি।'
এই ধারণা নিয়েই একটি কাক-কে যত বার পরীক্ষা করা হয়েছে দেখা গিয়েছে বাকি সংখ্যার মতো কাক শূন্য-ও বুঝতে পারছে।
#ICYMI: More evidence that the phrase "bird-brained" is a misnomer 👇
— Nicoletta Lanese (@NicolettaML) June 15, 2021
Turns out crows understand the mathematical concept of zero, and encode the number "zero" in their brains in the same way that primates do. 🤔https://t.co/xQtZcyrRnR@LiveScience #Neuroscience #Math #Birds
কাকের ব্রেনের প্যাটার্ন বা গতিবিধি দেখা জানা গিয়েছে, একের আগে যে শূন্য হয় তা একটি কাক বুঝতে পারে। এটা যথেষ্ট অবাক করার মতো তথ্য হলেও এটাই সত্যি।
পরীক্ষার সময় কাকের সামনে কম্পিউটার স্ক্রিনে শূন্যর সঙ্গে চারটি রঙের একটি স্ক্রিন এবং অন্যান্য সংখ্যার সঙ্গে চারটি রঙের স্ক্রিন দেখানো হয়েছে। যতবার অন্যান্য সংখ্যা স্ক্রিনে এসেছে তত বার কাক স্ক্রিনে ঠোক্কর মেরেছএ বা মাথা নাড়িয়েছে।