গত কয়েকদিনে গোটা দেশের বাজারে লেবুর দাম চড়চড় করে বাড়ছে। কোথাও পাঁচ টাকা প্রতি পিস, আবার কোথাও আরও খানিকটা বেশি। গোবেচারা লেবুর এমন মহার্ঘ হয়ে যাওয়ায় গরমের প্রাক্কালে নাজেহাল সাধারণ মানুষের অনেকেই।
নিয়মিত পকেট সামলে লেবু খাওয়া মাথায় উঠেছে। তবে লেবু চাষী এবং লেবু বিক্রেতাদের এখন পোয়াবারো এবং অর্থনৈতিক হিসেব বলছে এই লেবুর দাম ভবিষ্যতে মহার্ঘ থাকবে। খুব একটা নামার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। নামলেও লেবু চাষ করে মোটা টাকা মুনাফা সুযোগ রয়েছে।
লেবু চাষে কিন্তু অত্যন্ত কম খরচ হয়। লেবু চাষ করে নিজের আর্থিক সঙ্গতি এবং পরিবার প্রতিপালন দুটোই চলতে পারে। লেবুর মধ্যে বিভিন্ন ঔষধি গুণ এবং বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর চাহিদা রয়েছে গোটা বিশ্বেই। তাই লেবুর চাহিদা বাড়ছে।
পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে লেবুর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে, চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়েছেন নিয়মিত খেতে। আর তারপরই চড়চড় করে বাড়ছে লেবুর দাম। এমন পরিস্থিতি হয়েছে এখন লেবু বাঁচিয়ে খেতে হচ্ছে।
দেশে বেশ কিছু কৃষক লেবু চাষ করে ভালো মুনাফা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে তামিলনাড়ু, গুজরাট, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এর মত রাজ্য রয়েছে। যদিও এটা গোটা পূর্ব ভারতেই করা হয়। আলাদা আলাদা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকার লেবুর চাষ করে থাকেন।
লেবু চাষ করতে হলে জুলাই থেকে অগাস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো সময়। এটি যে কোনও মাটিতে চাষ করা যেতে পারে। কিন্তু যদি দোআঁশ মাটি হয় তা সবচেয়ে ভালো লেবু চাষের জন্য। খানিকটা মাটি রয়েছে, এমন জমিতে লেবু চাষ ভালো হয়। জানিয়ে দেওয়া যায়, একবার লাগালে পুরো ৩০ বছর পর্যন্ত বাগান থেকে ফল পাওয়া যায়। প্রায় তিন বছর ঠিকভাবে বড় হয়ে যায় এবং গোটা বছরই ফল দিতে থাকে। এটাই সবচেয়ে সুবিধা। চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা বছরে আয় হতে পারে।
লেবুর খোসা রাখতে চুলের জন্য ভাল, এবং ত্বকে বিভিন্ন প্যাক তৈরিতে কাজে লাগে। বিভিন্ন দাগ উঠাতে ঘরোয়া টোটকায় জুড়ি মেলা ভার। লেবুর রসে যে অ্যাসিড থাকে সেটি যেমন মানুষের শরীরকে বিভিন্ন সুবিধা দেয় তেমনি বিভিন্ন ব্যবহৃত লেবুর ব্যবহার অত্যন্ত ভাল। লেবুর গন্ধ আমাদের রিফ্রেশ করে। গোটা ঘর কে পবিত্র এবং সুখকর করে তোলে।