scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

'মুণ্ডহীন বালক' আর 'লাল চোখের হাতছানি', ডাওহিলের ডেথ রোডে হেঁটেছেন কখনও?

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 1/14

কার্শিয়ং মানেই অর্কিডের শহর। পাহাড়ের কোলে এই এলাকা প্রকৃতির রূপের দৌলতে পরিপূর্ণ। কিন্তু কার্শিয়ং মূল শহর থেকে খানিকটা উপরে এলাকারই ডাওহিলকে ঘিরে রহস্য় রোমাঞ্চের কিংবদন্তী রয়েছে। যা এখনও রহস্যে মোড়া। গা ছমছমে কিছু জনশ্রুতি কিছু অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের ঘটনা এই জায়গাকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।

 

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 2/14

ডাওহিলের ডেথ রোড নিয়ে জনশ্রুতি এতটাই তীব্র যে স্থানীয়রাও একা ওই রাস্তা দিয়ে দিনের বেলাতেও যেতে ভয় পান। অনেক কিছু দেখায় যায় বলে তাঁরা জানা। তার মধ্যে অন্যতম হল মুণ্ডবিহীন ধর দেখতে পাওয়া, বা লালচোখের বালককে ঘুরে বেড়াতে দেখা। কেউ কেউ সেখানে প্রাচীন বুড়িকে দেখেন বলে দাবি করেন। আবার কেউ বলেব সাদা কাপড় পড়ে রাতে কেউ ঘুরে বেড়ায়। অনেকে আবার স্বীকার করেন না।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 3/14

কেউ বলেন ডেথ রোড দিয়ে চলার সময়ে অনেক কাঠুরেই দেখতে পেয়েছেন এক মুণ্ডবিহীন বাচ্ছা ছেলেকে। যে রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যায়। শুধু এক আধবার নয়, একাধিকবার দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য বলে দাবি স্থানীয়দের।

Advertisement
রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 4/14

ডাওহিলের হন্টেড স্কুল ডাওহিল গার্লস এবং এই স্কুলেরই কাছে জঙ্গল ঘেঁষা ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুল। আর একটি কয়েকশো বছরের পুরনো চার্চ। সেখানে প্রায়ই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার জন্য পায়ের শব্দ শোনা যায়। শীতের রাতে চিৎকারও শুনতে পাওয়া গিয়েছে মাঝেমধ্যে। অনেকে বলে স্কুলের ক্লাস ছুটি হওয়ার পরও বাচ্চাদের আওয়াজ শোনা যায় কখনও। চার্চে কখনও ঘন্টার আওয়াজ শোনা যায়। যদিও চার্চটি বহু বছর পরিত্যক্ত।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 5/14

পাহাড়টির নাম ডাওহিল হল কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন এখানে প্রচুর ঘুঘুপাখি এই পাহাড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বাস করে।ডাভ থেকে ডাও হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ডাউন হিল থেকে ডাওহিল হয়েছে। পাহাড়ের খাড়াইয়ের মধ্যে কিছুটা সমতল ও নীচু জায়গা। সে জন্যেই পাহাড়টির নাম ডাওহিল।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 6/14

আশেপাশে ঘিরে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি দুটি স্কুল। নাম আগেই বলেছি। ডাওহিল গার্লস ও ভিক্টোরিয়া বয়েজ। সাহেবদের তৈরি স্কুল। এখনও দিব্যি চলছে। আছে ইকো পার্ক, জলাধার, ডিয়ার পার্ক, ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট স্কুল ও ফরেস্ট স্কুল মিউজিয়াম। ডাওহিল থেকেই এগিয়ে গিয়েছে বাগোরা ও চিমনিগাঁও যাওয়ার ট্রেকিং রুট। এখান থেকে ট্রেক করে যাওয়া যায় শিবখোলাতেও।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 7/14

ডাওহিল রোড থেকে ফরেস্ট অফিস যাওয়ার রাস্তাটার কাছে বড় বড় গাছে ঘেরা, সারা বছর কুয়াশায় মোড়া আলো-আঁধারি রাস্তার নাম ‘ডেথ রোড’। এই ডেথ রোড নিয়েই যত মিথ, আতঙ্ক আর প্রবাদ। 

Advertisement
রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 8/14

এই রোডে নাকি অনেক অপমৃত্যু হয়েছে। রোড লাগোয়া জঙ্গলে একাধিক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্রিটিশ আমলেও বহু লোককে মেরে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। তাদের শেষকৃত্য় হয়নি। বহু বছর আগে এই রাস্তাতেই স্থানীয় কাঠুরেরা দেখেছিল এক মুণ্ডহীন বালক দাঁড়িয়ে আছে বলে দাবি তাঁদের।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 9/14

এমনকী কাঠুরেদের চোখের সামনে, বালকটি এক ছুটে হারিয়ে গিয়েছিল ঘন অরণ্যের জমাট অন্ধকারে। কাঠুরেরা দৌড়ে পালিয়ে এসে জঙ্গলের বাইরে অজ্ঞান হয়ে যায়। সে গল্প ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে একা তো কেউ আসেনই না, রাতে একাধিক লোক থাকলেও আসতে চান না।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 10/14

প্রথমে স্থানীয়রা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু এই ঘটনাটির পর এই ডেথ রোডে অনেকবার নাকি দেখা গিয়েছে স্কন্ধকাটা বালকটিকে। তাই ভীতু পর্যটকেদের রাস্তাটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় হোটেলগুলি থেকে। বিকেলের পর এই রাস্তায় লোক চলাচল প্রায় বন্ধই হয়ে যায়।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 11/14

আবার কেউ কেউ বলেন, অরণ্যের জমাট অন্ধকার থেকে লাল চোখ দুটির মালিক নাকি তাকিয়ে থাকে এলাকায় অনুপ্রবেশকারীর দিকে। অনুপ্রবেশকারী যতক্ষণ থাকে এলাকায়, পাশাপাশি চলে লাল চোখ দুটি। যতক্ষণ না আতঙ্কিত অনুপ্রবেশকারী তার এলাকা ছেড়ে চলে যায় ততক্ষণ চোখ ঘুরে বেড়ায় চারিদিকে।

Advertisement
রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 12/14

ডাওহিল অরণ্যের বাতাসে নাকি মৃত্যুর গন্ধ উড়ে বেড়ায়। তাই এখানে এসে আত্মঘাতী হন বহু মানুষ। যার জন্য দায়ী নাকি এক রহস্যময়ী নারী। তার অবয়ব পরিষ্কার কেউ দেখেনি। সেই নারী একা একা ঘুরে বেড়ায় গাছেদের ফাঁকে ফাঁকে। দেখলে মনে হবে সে বুঝি শূন্যে উড়ে চলেছে।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 13/14

ডাওহিলের শতাব্দী প্রাচীন স্কুলদুটি নিয়েও রয়েছে নানা কাহিনী। প্রতি বছর শীতে তিনমাস বন্ধ থাকে স্কুল। সেই সময় স্কুলে কেউ থাকে না।তখন রাতে স্কুলদু’টির ভেতর থেকে ভেসে আসে রক্তজল করে দেওয়া নানান আওয়াজ বলে অনেকের দাবি। স্কুলদু’টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ডেথ রোডের সেই স্কন্ধকাটা বালকের কাহিনীও।

রহস্যে ঘেরা ডাওহিল
  • 14/14

শোনা যায়, ভিক্টোরিয়া স্কুলের এক ছাত্র সন্ধ্যার সময় স্কুলে গিয়েছিল বই জমা দিতে। করিডর দিয়ে একাই ফিরে আসছিল বালকটি। পিছন থেকে কারও পায়ের আওয়াজ শুনে থমকে যায় বালকটি। থামের আড়ালে লুকিয়ে পড়েছিল কেউ। বন্ধুরা ভয় দেখাচ্ছে মনে করে ব্যাগ নিয়ে তেড়ে গিয়েছিল বালকটি। ব্যাগ দিয়ে আঘাত করেছিল থামের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বালকটির দেহে। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছিল এক মুণ্ডহীন বালক। 

Advertisement