First Bank Note Of Independent India: ২০০০ টাকা শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে এখন জোর চর্চায়। তার কারণ সরকার অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাংক এই টাকা ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে যে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট চালু থাকবে। তার মধ্যে এই টাকা যার কাছে রয়েছে, বদলে নিতে হবে। ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল।
দেশের কারেন্সি জারি করার দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank Of India)-র উপর ন্যস্ত রয়েছে। সংবিধানের ধারা ২২ অনুসারে ভারতে নোট জারি করার অধিকার রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে রয়েছে। ধারা ২৫ শে উল্লেখ রয়েছে যে নোটের ডিজাইন স্বরূপ কী হবে। রিজার্ভ ব্যাংক এবং কেন্দ্রীয় বোর্ড এর অনুশংসার ওপর বিচার করে তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।
স্বাধীনতার পর ২ বছর বাদে ভারত নিজের প্রথম নোট জারি করে। রিজার্ভ ব্যাংক অনুসারে স্বাধীন ভারতের প্রথম নোট ১ টাকার ছিল। এটি ১৯৪৯ সালের ঘটনা। নোটের ওয়াটারমার্ক উইন্ডোতে কিং জর্জের ছবির জায়গায় সারনাথের অশোক স্তম্ভের লায়ন ক্যাপিটালকে প্রতীক হিসেবে জারি করা হয়।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা জারি সবচেয়ে উচ্চমূল্যের নোট ১০ হাজার টাকার ছিল। এটি ১৯৩৮ সালে জারি করা হয়েছিল। এরপর ১৯৪৬ সালে এটিই রিজার্ভ ব্যাংক ফেরত নিয়ে নেয়। ১৯৫৪ সালে দ্বিতীয়বার ১০ হাজার টাকার নোট জারি করা হয়। এরপর ১৯৭৮ সালের রিজার্ভ ব্যাংক এই নোট ফেরত নিয়ে নেয়।
রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা জারি ব্যাংক নোটের ভাষা প্যানেলে ১৫ টি ভাষা দেখা যায়। এছাড়া নোটের কেন্দ্রে প্রমুখ রূপে হিন্দি এবং ব্যাংক নোট এর পেছনে ইংরেজিতে লেখা থাকে। নোটের ভ্যালু ১৫ টি ভারতীয় ভাষায় লেখা রয়েছে।
৮ নভেম্বর ২০১৬ তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেওয়া হয়। এর জায়গায় রিজার্ভ ব্যাংক ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট জারি করেছিল। রিজার্ভ ব্যাংকের দাবি ছিল যে ২০০০ টাকার নোট ওই নোটের ভ্যালু খুব দ্রুত রিপ্লেস করে দেবে।
যদিও রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছিল যে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ৩.৬২ লাখ কোটি টাকা ভ্যালু দু হাজারের নোট সার্কুলেশনে ছিল। এই মোট নোটের circulation এর কেবল ১০.৮% অংশ ছিল. দেশের ২০০০ টাকার নোট সবচেয়ে বেশি ২০১৭-১৮ সময়ে বাজারে ছিল। এই সময় বাজারে ২ হাজার টাকার ৩৩ হাজার ৬৩০ লক্ষ নোট চলছিল। এর মোট ভ্যালু ৬.৭২ লাখ কোটি টাকা ছিল।