Firecracker of West Bengal: বাংলার বিভিন্ন জায়গার উৎপাদিত বা স্বাভাবিক নিয়মে জন্মানো বিভিন্ন জিনিস বিখ্যাত। তা সে মিষ্টি হতে পারে হতে পারে, বা কাপড় বা ফসল। তেমনই একটি জিনিসও এলাকার ওপর ভিত্তি করে তার গুণমান শীর্ষ জায়গায় নিয়ে গিয়েছে।
আর সে জিনিসটির এই সময় খুব কদর। তা হল বাজি। হরেক রকম বাজি এলাকাভেদে বিখ্যাত। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা বিভিন্ন রকমের বাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত।
আমরা সবাই নুঙ্গি বা চম্পাহাটি নাম জানি। সেখানে বাজি তৈরি হয়। সারা বাংলা তার নাম জানে। কিন্তু একটু খোঁজখবর নিলেই জানা যাবে এই এলাকার তুবড়ি বিখ্যাত, তো ওই এলাকার রং মশাল।
আসুন জেনে নিই কোন এলাকার কোন বাজি বিখ্যাত। সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগণার চম্পাহাটি-হাড়ালের তুবড়ির কদর খুব।
নদিয়ার নবদ্বীপে আবার চরকি খুব ভাল তৈরি হয়। মেদিনপুরে সবং এলাকায় গাছবোমা, জলবোমা তৈরির জন্য বিখ্য়াত। সেগুলি শব্দবিধি মেনে তৈরি করা হয়।
চম্পাহাটি, গাঙনাপুর, নীলগঞ্জ চকোলেট বোমার জন্য বিখ্যাত। তবে এখন তো শব্দের নিয়মের জন্য তা উঠেই গিয়েছে । সেখানকার বাজিনির্মাতারা ফুলঝুরি, তুবড়ি বানাচ্ছেন। নুঙ্গির হাউই, আলোর মালার দারুণ নাম।
শেল বা পাইপ কাজ চম্পাহাটি এবং নীলগঞ্জ। নুঙ্গিতেও হচ্ছে। সোনি, ককের নকল করে সেখানে শেল বা শট তৈরি হয়।
রাজ্যে আতশবাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ১৬-১৭ লক্ষ কারিগর। এর পাশাপাশি মাল মেশানো, মাল ঠাসা, পাইপ-দানা তৈরি করার মতো কাজে সব মিলিয়ে ৮-৯ লক্ষ মানুষ জড়িয়ে। সারা বাংলায় প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। জানাচ্ছিলেন বাবলা রায়।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগণার নুঙ্গি ঐতিহাসিক জায়গা। এখান থেকে সারা ভারতের আসশবাসির বাজার শুরু হয়।
এ বছর উচ্চ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, গ্রিন স্ক্রীন বাজি ফাটানো যাবে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বাজি নির্মাতা সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বলেছে বাজি উৎপাদন-বিক্রি এবং ফাটানো নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে।