মকরসংক্রান্তিকে পুণ্যতিথি মানার কারণ রয়েছে অনেকগুলি। এই দিনে পুণ্যস্নান, বাস্তপুজো এবং সর্বোপরি বাঙালির পিঠে পুলি উৎসবকে কেন্দ্র করেই মূলত পৌষ সংক্রান্তি অনুষ্ঠিত হয়। সব ফোটো- বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী
এইসময় নতুন চাল দিয়েই অনুষ্ঠিত হয় নবান্ন উৎসব। পাশাপাশি চলে নতুন চালের গুঁড়ো দিয়ে পিঠে ও পুলি তৈরির রীতি বাঙালির চিরকালীন ।
অন্যদিকে মকর সংক্রান্তিকে বিশেষ মানার নেপথ্যে বিশ্বাস ছাড়াও রয়েছে ভৌগলিক কারণও। শ্রাবণ থেকে পৌষ- এই ছয় মাস দক্ষিণায়ন চলে। আর মকর সংক্রান্তি যেহেতু উত্তরায়ণ এর সূচনা কাল তাই এই দিনটি বিশেষভাবে পালন হয়।
এই দিন অনেক গৃহস্থের বাড়িতে গৃহ লক্ষ্মী পুজোও হয় শুভ দিন বিচার করে। এছাড়াও নবান্ন উৎসব , গঙ্গা সাগর মেলা , জয়দেবের মেলা , কুম্ভ মেলা প্রভৃতি উৎসব ও ধর্মানুষ্ঠান এর শুভ সূচনা কাল এই মকর সংক্রান্তি।
এই মকর সংক্রান্তির কিন্তু অপর নাম তিল সংক্রান্তিও। এই দিনে তিল দান এবং তিলের তৈরি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরিকে শুভ হিসেবে মানা হয়।
গ্রামঞ্চলে এই মকরসংক্রান্তি পালন হয় কিছুটা ভিন্ন ভাবে। এই উৎসব পালনের শেষ চারদিন চাউরী , বাউড়ি , মকর ও আঘান নামে পরিচিত। এই রীতি অবশ্য অনেকেরই অজানা।
বাউরির রাত থেকে টুসু উৎসবও অনুষ্ঠিত হয়। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তির দিন আদিবাসী সম্প্রদায় এই টুসু উৎসব পালন করে থাকে। পৌষ সংক্রান্তির এই দিনেই রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে টুসু উৎসবের সমাপন ঘোষণা করা হয়। তাই মকরসংক্রান্তি শুধু গঙ্গাস্নান, নবান্ন, পিঠেপুলিতেই নয়, পুণ্যতিথির নেপথ্যে রয়েছে এমনই একাধিক কারণ।