ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বাংলার শান্তিনিকেতনের একটি আন্তরিক ও আত্মিক যোগ রয়েছে।
১৯৩৪ সালের জুলাই মাসে গুরুদেবের শান্তিনিকেতনে ম্যাট্রিকুলেশনের গণ্ডী পেরিয়ে পড়তে এসেছিলেন ইন্দিরা। যদিও, কবির প্রতিষ্ঠানে মাত্র বছরখানেক ছাত্রী হিসেবে স্থায়ী হয়েছিলেন তিনি। ভালোই বাংলা বলতে শিখেছিলেন তিনি।
১৯৫০ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে ও পরবর্তীতে দীর্ঘদিন আচার্য থাকাকালীন প্রায় প্রতি বছরই ইন্দিরা গান্ধী পৌষ–মাঘ মাসে শান্তিনিকেতনে আসতেন।
জওহরলাল অবগত ছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে। জওহরলাল নেহরুর আস্থা ছিল কবির শিক্ষা দর্শনে। ১৯৩৪ সালের জানুয়ারিতে নেহরু দম্পতি শান্তিনিকেতনে এসে বিশ্বভারতীতে ইন্দিরাকে ভর্তির বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে অনুরোধ জানান।
এর পর ১৯৩৪ সালের জুলাই নাগাদ ১৭ বছরের ইন্দিরা বম্বে থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে বিশ্বভারতীতে আইএ পড়তে আসেন। ছাত্রীনিবাস শ্রীসদনে তাঁর জায়গা হয়।
ইন্দিরা গান্ধী শান্তিনিকেতন ছেড়ে যাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ লেখেন, শান্তিনিকেতনের সম্পদ ইন্দিরা, তাঁকে নিয়ে অনেক সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন কবিগুরু।
শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর মাষ্টারমশাই ও অভিভাবক। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নাম রেখেছিলেন প্রিয়দর্শিনী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গুরুদেবের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের সঙ্গে ছিল তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক।