উত্তরাখণ্ডের জঙ্গলে হাজার হাজার অজানা ও অদ্ভুত গাছপালা রয়েছে। সম্প্রতি এখানে একটি অত্যন্ত বিরল মাংসাশী উদ্ভিদ পাওয়া গেছে। এই উদ্ভিদের নাম Utricularia furcellata. এটি চামোলি (Chamoli District) জেলার মন্ডল উপত্যকায় (Mandal Valley) আবিষ্কৃত হয়েছে। বন দফতরের মতে, এটি একটি অত্যন্ত বিরল আবিষ্কার। এখানে এটি খুঁজে পাওয়া সহজ ছিল না।
এই মাংসাশী উদ্ভিদকে স্থানীয় ও প্রচলিত ভাষায় ব্লেডারওয়ার্ট (Bladderworts) বলা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে, এই উদ্ভিদটি প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডে নয়, সমগ্র পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে দেখা গেছে। এই উদ্ভিদ মশা এবং অন্যান্য অনেক ধরনের ছোট পোকামাকড় খায়।
এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ড্রোসেরা, অ্যাট্রিকুলারিয়া এবং পিঙ্গুকুলা জেনাসের ২০টি উদ্ভিদ পাওয়া গেছে। এই সব গাছপালা বিরল। কিন্তু ব্লেডারওয়ার্টস অত্যন্ত বিরল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার হরিশ নেগি এবং মনোজ সিং মাংসাশী উদ্ভিদ আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রধান বন সংরক্ষক সঞ্জীব চতুর্বেদী বলেন, Utricularia Furcellata একটি অত্যন্ত জটিল উদ্ভিদ। এর দৈহিক গঠন অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে আলাদা। এটি প্রোটোজোয়া, পোকামাকড়, লার্ভা, মশা এবং এমনকী নতুন ট্যাডপোল খায়। এটি ভ্যাকুয়াম তৈরি করে নেতিবাচক চাপ তৈরি করে। এতে পোকামাকড় আটকে যায় এবং মারা যায়।
সঞ্জীব জানান, ভিজা মাটি ও পরিষ্কার জলের আশপাশে ইউট্রিকুলারিয়া ফারসেলাটা পাওয়া যায়। উত্তরাখণ্ডের বন বিভাগের এই প্রথম গবেষণা, যা প্রকাশিত হয়েছে 'দ্য জার্নাল অফ জাপানিজ বোটানি।' এই জার্নালের বয়স ১০৬ বছর। যা Taxonomy এবং Botany এর মর্যাদাপূর্ণ জার্নালগুলিতে আসে। এর আগে ১৯৮৬ সালে ভারতে Utricularia furcellata দেখা গিয়েছিল, এরপর আর কোথাও দেখা যায়নি।
Utricularia furcellata অনুপস্থিতির প্রধান কারণ জৈব চাপ এবং পর্যটন। সাধারণত এটি এমন জায়গায় জন্মে, যেখানে মাটির সার দেওয়ার ক্ষমতা কম। তাই পোকামাকড় খায়। দ্বিতীয়ত, এই গাছের ঔষধি উপকারিতা অনেক। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মাংসাশী উদ্ভিদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।